বিশ্ববিখ্যাত বাংলাদেশি সুগন্ধি শিল্প প্রতিষ্ঠান আল হারামাইন পারফিউমের পক্ষ থেকে আমিরাতের আজমানে কোম্পানির নিজস্ব ফ্যাক্টরীতে ৫ হাজার মানুষের ইফতার সম্পন্ন হয়েছে। আমিরাত সরকারের গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তা, বাংলাদেশ সরকারের প্রতিমন্ত্রীসহ সাধারণ শ্রমিকদের মিলনমেনায় রূপ নেয় এ অনুষ্ঠান। প্রতিবছর আল হারামাইনের এমন মেলবন্ধনে দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হচ্ছে।
২৪ মার্চ (রোববার) আজমানস্থ আল হারামাইন ফ্যাক্টরীতে সকল শ্রেণী পেশার মানুষের মিলনমেলা ঘটে।
আল হারামাইনের সুগন্ধি বিশ্বে আজ এক সুপরিচিত নাম। আরবের বালুকাময় প্রান্তরের প্রাণকেন্দ্র মক্কায় ১৯৭০ সালে প্রতিষ্ঠানটি যাত্রা শুরু করে। ১৯৯২ সালে আল হারামাইন সংযুক্ত আরব আমিরাতে যাত্রা করে। এরপর থেকে আমিরাতেই গড়ে ওঠে ফ্যাক্টরী আর প্রধান কার্যালয়। বর্তমানে ৩ হাজার বাংলাদেশি কর্মী আছেন এ প্রতিষ্ঠানে। রমজান এলে সকল শ্রেণীর মানুষের একসাথে মিলনমেলা করে মানুষে মানুষে ভেদাভেদ নেই প্রমাণ করেন কোম্পানির চেয়ারম্যান সিআইপি মাহতাবুর রহমান। তিনি বলেন, সাধারণ মানুষকে উচ্চ শ্রেণীর মানুষের সাথে মেলবন্ধন ঘটানো আর সকল বৈষম্যভুলে হা তে হাত রাখার জন্য এ আয়োজন।
আল হারামাইনের এসব ইফতার গত কয়েকবছর ধরে চলছে। কেবল ইফতার নয় বরং কুটনীতির সম্পর্ক উন্নয়ন আর প্রবাসে বাংলাদেশের ইমেজ বৃদ্ধিতে এসব আয়োজন সহায়ক বলে জানিয়েছেন দূতাবাস ও কমিউনিটির লোকজন। আমিরাতে বাংলাদেশিরা প্রথম শ্রেণীর ব্যবসায়ি হিসেবে আছেন এটা বাংলাদেশের জন্য গর্বের। দুবাইয়ে নিযুক্ত বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল বি এম জামাল হোসেন বলেন, এসব মিলনমেলা দেশের ভাবমূর্তি বিদেশে প্রাণশক্তি বাড়ায়। কমিউনিটি নেতা ও বায়ান্ন টিভির এমডি সিআইপি সালেহ আহমদ বলেন, নাসির সাহেব যে কাজ করে যাচ্ছেন তা বাংলাদেশি বিশেষকরে সিলেটী হিসেবে আমরা গর্ব করি।
এমন অনুষ্ঠানে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় প্রতিমন্ত্রী মো. মহিববুর রহমানের কাছে সাধারণ প্রবাসিরা বিমানের আবুধাবীতে বড়ো ফ্লাইটের দাবী জানান। একইসাথে ঈদে ঘরফেরা প্রবাসির জন্য বিমানের টিকেটে সুলভ মূল্যে রাখার দাবী জানালে প্রতিউত্তরে তিনি সমাধানের প্রতিশ্রুতি দেন।
ঈদ এলে রেমিটেন্স পাঠিয়ে দেশকে শক্তিশালি করেন প্রবাসিরা। তবুও বিমানের কিছু বিমাতাসুলভ আচরণে তারা যেন প্রতিনিয়ত ভোগান্তিতে দিন কাটান। এ বিষয়ের স্থায়ী সমাধানে সরকারের পদক্ষেপ জরুরী বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।
