চলতি বছরের জানুয়ারির পর শুক্রবার করোনার সর্বোচ্চ শনাক্ত দেখলো যুক্তরাজ্য। করোনার নতুন ধরনের সংক্রমণ ঠেকাতে দেশটির সরকার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন একজন জ্যেষ্ঠ মন্ত্রী।
ব্রিটেনভিত্তিক সংবাদমাধ্যম বিবিসি এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, শুক্রবার (১০ ডিসেম্বর) মোট ৫৮ হাজার ১৯৪ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। সবশেষ ৯ জানুয়ারি দেশটিতে ৫৯ হাজার ৯৩৭ জন মানুষ করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন।
ব্রিটেনের কমিউনিটি সেক্রেটারি মাইকেল গোব বলেন, দেশ মারাত্মক উদ্বেগজনক পরিস্থিতির মুখে। কারণ ওমিক্রন খুব দ্রুতবেগেই ছড়াচ্ছে। সংক্রমণ সংখ্যা দুই-তিন দিনের মধ্যেই দ্বিগুণ হয়ে যাচ্ছে।
দেশটির আঞ্চলিক নেতাদের সাথে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের গোব বলেন, গত ৯ জানুয়ারির পর আজ করোনার সর্বোচ্চ সংক্রমণ ঘটেছে। তখন করোনার সংক্রমণ ছিল ৫৯ হাজার ৯৩৭।
তিনি আরও বলেন, লন্ডনে শনাক্ত করোনার সংক্রমণের ৩০ শতাংশই ওমিক্রন ধরনের। অথচ এই ধরন কেবলমাত্র দুই সপ্তাহ আগে যুক্তরাজ্যে শনাক্ত হয়েছে।
দেশটির স্বাস্থ্য নিরাপত্তা সংস্থা বলছে, এই ধারা অব্যাহত থাকলে আগামী মধ্য ডিসেম্বর নাগাদ ওমিক্রন করোনার নিয়ন্ত্রক ধরন হয়ে উঠবে।
সংস্থাটি আরও বলছে, অ্যাস্ট্রোজেনকা কিংবা ফাইজার ওমিক্রন প্র্রতিরোধে অল্পই কার্যকর। কিন্তু বুস্টার ডোজ ৭০ থেকে ৭৫ শতাংশ সুরক্ষা দিতে পারবে।
আরও পড়ুন: র্যাবের সাবেক ও বর্তমান কর্মকর্তার ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা
এদিকে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন ইতোমধ্যে কিছু কঠোর পদক্ষেপ ঘোষণা করেছেন। একে তিনি ‘প্ল্যান বি’ নামে বর্ণনা করেছেন।
নতুন ঘোষিত বিধিনিষেধ নিয়ে পার্লামেন্টে বিতর্ক অনুষ্ঠিত হবে এবং আগামী সপ্তাহে হাউজ অব কমন্সে ভোটাভুটি হবে।
একাত্তর/আরবিএস
মন্তব্য
এই নিবন্ধটি জন্য কোন মন্তব্য নেই.