আমানতের ঝুঁকি বিবেচনায় কেন্দ্রীয় ব্যাংকে বাণিজ্যিক ব্যাংকের জমা রাখা অর্থের পরিমাণ এখন সাড়ে এগারো হাজার কোটি টাকা।
তবে, আমানত বীমা ট্রাস্ট নামক এ তহবিলের আকার বাড়লেও কোন কারণে ব্যাংক দেউলিয়া হলে আমানতকারীদের সর্বোচ্চ লাখ টাকা ফেরত দিতে পারে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
বিশ্লেষকরা বলছেন, ঝুঁকিপূর্ণ আর্থিক খাতের সাথে অর্থ ফেরতের এই পদ্ধতি সাংঘর্ষিক। সেজন্য এই পদ্ধতি পরিবর্তনের তাগাদাও দিয়েছেন তারা।
ধরুন, গ্রাহক হিসাবে নিরাপদ সঞ্চয়ের উদ্দেশ্যে কোন ব্যাংকে আপনি টাকা রাখছেন। যদি কোন কারণে ব্যাংক দেউলিয়া কিংবা অবসায়ন করা হয় তাহলে টাকার কি হবে?
এমন প্রশ্ন যখন আপনিসহ যাদের, তাদের জন্যই ১৯৮৪ সালে এক আদেশের মাধ্যমে আমানত বীমা তহবিল গঠন করে সরকার। পরে, ব্যাংক আমানত বীমা আইন করা হয়।
এই আইনের আওতায় ব্যাংকগুলোর আমানতের বিপরীতে প্রিমিয়াম আদায় করে আসছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
ক্যামেলস রেটিংয়ের ঝুঁকি বিবেচনায় যেসব ব্যাংক তুলনামূলক ভালো তারা প্রতি একশ' টাকা আমানতের বিপরীতে ৮ পয়সা, মধ্যম মানের ঝুঁকিপূর্ণ ব্যাংকের ৯ পয়সা এবং সমস্যাগ্রস্ত ব্যাংককে দিতে হয় ১০ পয়সা।
আরও পড়ুন: সন্ধ্যা থেকে এলপির ‘নতুন দাম’
বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, ব্যাংকগুলোর রাখা এ অর্থের পরিমাণ বছর ব্যবধানেই বেড়েছে প্রায় দেড় হাজার কোটি টাকা। এ অর্থগুলো আবার সরকারি মেয়াদী বন্ডগুলোতে বিনিয়োগ হচ্ছে।
যদিও আমানত বীমা ট্রাস্ট নামক এ তহবিলে অর্থের পরিমাণ বাড়লেও, তহবিল থেকে সুরক্ষার অর্থ খুবই কম।
এই যেমন কোনো ব্যাংক দেউলিয়া হলে ওই ব্যাংকের একজন আমানতকারীর যে অঙ্কের টাকাই থাকুক না কেন, তিনি সর্বোচ্চ এক লাখ টাকা ফেরত পাবেন।
যাকে, বিপরীতমুখী আইন বলছেন বিশ্লেষকরা। আর বীমা বিশ্লেষকদের মতে, গ্রাহকবান্ধব আর্থিকখাত নিশ্চিত করতে হলে প্রয়োজন আইনকানুনগুলোও পরিবর্তন।
একাত্তর/এসজে
মন্তব্য
এই নিবন্ধটি জন্য কোন মন্তব্য নেই.