একদিনের ব্যবধানে করোনার দৈনিক শনাক্তের সংখ্যা আরেক দফা বেড়েছে। এদিন আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছে সাড়ে ৯ হাজার মানুষ। শনাক্তের হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৫ শতাংশে।
মারা গেছে ১২ জন। নতুন করে দশ জেলাসহ মোট ১২ জেলাকে লাল তালিকাভুক্ত করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এসব জেলায় সাপ্তাহিক শনাক্তের হার দশ শতাংশ ছাড়িয়ে গেছে।
যদিও লাল তালিকার জেলাগুলোতে আলাদা কোন বিধি-নিষেধের কথা এখনও ভাবা হচ্ছে না। স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিতের পাশপাশি টিকা কর্মসূচিতে জোর দেয়া হচ্ছে।
বছরের শুরুর দিনটাতেও ধারণা করা যায়নি করোনার তৃতীয় ঢেউ ধেয়ে আসবে এতোটা দ্রুত আর এতোটা আগ্রাসী রূপে।
দৈনিক শনাক্তের হারটা দুই শতাংশ থেকে ১৯ দিনে ২৫ শতাংশে পৌঁছেছে।একদিনেই আক্রান্ত শনাক্ত সাড়ে নয় হাজার মানুষ। মৃত্যুর সংখ্যা থাকছে দুই অঙ্কের ঘরেই।
সব শেষ ২৪ ঘণ্টাতেও মারা গেছে ১২ জন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে, আগের সপ্তাহের তুলনায় রোগীর সংখ্যা বেড়েছে ২২৮ শতাংশ। আর মৃত্যু বেড়েছে ১৮৫ শতাংশ।
বিভিন্ন হাসপাতালে ধীরে ধীরে বাড়ছে রোগীর ভিড়। তবে হাসপাতালে পর্যাপ্ত প্রস্তুতি আছে বলে জানিয়েছে, ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের কর্তৃপক্ষ।
এবারও সংক্রমণের হার সবচেয়ে বেশি ঢাকা জেলায়। চলতি সপ্তাহে পরীক্ষা বিবেচনায় ঢাকায় শনাক্তের হার ২৮ শতাংশেরও বেশি। এরপরই চট্টগ্রামে সপ্তাহের শনাক্তের হার ১৮ শতাংশ।
ঢাকা, চট্টগ্রাম ছাড়াও শনাক্তের হার ১০ শতাংশের বেশি আছে আরও ১০ জেলায়। মোট ১২টি জেলাকে লাল তালিকাভুক্ত করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
করোনা সংক্রমণের উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ জেলাগুলো হলো- ঢাকা, গাজীপুর, রাজশাহী, যশোর, কুষ্টিয়া, বগুড়া, দিনাজপুর, চট্টগ্রাম, লালমনরিহাট, খাগড়াছড়ি, পঞ্চগড় ও রাঙামাটি।
এ ছাড়া হলুদ জোন বা মধ্যম ঝুঁকিতে রয়েছে ৩২ জেলা। আর গ্রিন বা সবুজ জোনে রয়েছে ১৬ জেলা।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মুখপাত্র নাজমুল হক জানিয়েছেন, লাল জোনে থাকা জেলার জন্য আপতত নেই কোন আলাদা কোন বিধি-নিষেধ। মাস্ক পরা ও স্বাস্থ্যবিধিতেই বেশি জোর থাকবে বেশি।
আরও পড়ুন: করোনায় দৈনিক শনাক্ত দশ হাজারের দোরগোড়ায়
গেলবারের তুলনায় এবার হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা কম। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে, ওমিক্রন বা ডেল্টা যে কারণেই সংক্রমণ বাড়ুক, প্রতিরোধ ব্যবস্থা আগের মতোই টিকা আর মাস্কের ব্যবহার।
একাত্তর/এসএ
মন্তব্য
এই নিবন্ধটি জন্য কোন মন্তব্য নেই.