আগামী বছরের জুন মাসে চালু হবে পদ্মা সেতু। এর উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শনিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সকালে ঢাকা-আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নির্মাণকাজের উদ্বোধন করে সাংবাদিকদের এ কথা জানান সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, আগামী বছরের জুনে উদ্বোধন করা হবে পদ্মা সেতু। প্রধানমন্ত্রী এটি উদ্বোধন। বঙ্গবন্ধু কর্ণফুলী টানেলও চালু হবে ২০২২ সালে।
এ সময় ঢাকা-আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নির্মাণকাজের উদ্বোধনকালে কোনো অভিযোগ পেলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
সেই সঙ্গে এক্সপ্রেসওয়ের কাজ চললেও জনগণের যেন ভোগান্তি না হয় সেদিকে খেয়াল রাখারও তাগিদ দেন সেতুমন্ত্রী।
ঢাকা শহরের উত্তরাঞ্চল তথা সাভার, আশুলিয়া ও ইপিজেড সংলগ্ন শিল্প এলাকার যানজট নিরসন এবং দ্রুত যোগাযোগব্যবস্থা উন্নয়নের লক্ষ্যে ঢাকা-আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ প্রকল্পটি গ্রহণ করেছে সরকার।
এক্সপ্রেসওয়ের দৈর্ঘ্য হবে ২৪ কিলোমিটার। এতে উত্তরাঞ্চলের ৩০ জেলার গাড়ি রাজধানীর ভেতরে প্রবেশ না করেই সরাসরি চলে যেতে পারবে দেশের পশ্চিম ও দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলে। এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পের মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ১৬ হাজার ৯০০ কোটি টাকা। ২০২৬ সালের জুন মাসে এ প্রকল্পের কাজ শেষ করার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ভরা মৌসুমেও সুন্দরবন এলাকায় নেই ইলিশ, আছে চাঁদাবাজি
এ প্রকল্প নিয়ে মন্ত্রী বলেন, শুরুতেই হোঁচট খাওয়ার কোনো কারণ নেই। বর্তমানে যে রাস্তা আছে, এখানে ভোগান্তি যেন না হয়, রাস্তা যেভাবে আছে থাকুক। অনেক মানুষ বিকল্প পথ হিসেবে এই পথ ব্যবহার করে। এখানে মানুষের যেন ভোগান্তি না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। আমি ভোগান্তির বিষয় এড়িয়ে চলতে বলব। রাস্তা যেন ব্যবহারের উপযোগী থাকে। ক্যায়োটিক পরিস্থিতি যেন সৃষ্টি না হয় সেদিকে খেয়াল রাখবেন।
একাত্তর/আরএ
মন্তব্য
এই নিবন্ধটি জন্য কোন মন্তব্য নেই.