দেশের শেয়ারবাজারে ঘোলা পানিতে মাছ শিকার চলছেই বলে মন্তব্য করেছেন খোদ পুঁজি বাজার নিয়ন্ত্রণ সংস্থার প্রধান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াতুল ইসলাম। একাত্তরকে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে তিনি বলেছেন, ফেসবুকের অনেক পেজে বাজার নিয়ে উদ্দেশ্যমূলকভাবে অনেক গুজব ছড়ানো হয়। এসব গুজব যখন আবার মূলধারার সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয় তখনই সেগুলো শক্তিশালী হয়ে উঠে।
শিবলী বলেন, আমি মনে করি সাংবাদিকসহ সমাজের সব স্টেক হোল্ডারদের এসব গুজব প্রতিরোধে ও প্রতিকারে দায় ও দায়িত্ব আছে।
সম্প্রতি শেয়ারবাজারে টানা পতন কি আবারও বিনিয়োগকারীদের আস্থা হারানোর ইঙ্গিত? একাত্তরের এমন প্রশ্নে বিএসইসি প্রধান বলেন, সাংবাদিকরা যেভাবে লিখেন, বাজারে ধ্বস, বাজারে বিপর্যয়; এসব টার্মের সাথে আমি একমত নই। কয়েকদিন সূচক পতন হওয়াটা মোটেও অস্বাভাবিক নয়।
তার মতে, চার হাজার থেকে সূচক এক দেড় বছরে সাড়ে সাত হাজার পয়েন্টের কাছাকাছি চলে এসেছে। সেখান থেকে তিনশ পয়েন্ট কমা খুবই স্বাভাবিক কারেকশন।
তিনি আরও বলেন, বিনিয়োগকারীদের বুঝতে হবে শেয়ারবাজার লাগাতার মুনাফার জায়গা নয়।
তার পদত্যাগের মতো ভিত্তিহীন খবরসহ নানা গুজবে বাজারের সাম্প্রতিক অস্থিরতা কি প্রমাণ করে বর্তমান বাজারেও গুজব অনেক শক্তিশালী। এর প্রতিরোধে বিএসইসি কি করছে? এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, নিয়ন্ত্রক সংস্থা কাজ করছে আর সংশ্লিষ্ট সবাইকেই এখানে কাজ করতে হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাথে তাদের সাম্প্রতিক টানাপোড়ন নিয়ে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে শিরোনাম হয়েছে।
পুঁজি বাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থার প্রধান বলেন, কাজের ক্ষেত্রে মতানৈক্য হতেই পারে। বিষয়গুলো যতোটা রটেছে ততোটা নয়। আমাদের পারস্পারিক বোঝাপড়ার মাধ্যমে কাজ এগিয়ে নিচ্ছি।
তালিকাভুক্ত বীমা কোম্পানির উদ্যোক্তা পরিচালক শেয়ার ধারণ ও বিক্রি প্রসঙ্গে তিনি জানান, বীমা খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা এ নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবে।
বিএসইসি চেয়ারম্যান দায়িত্ব নেয়ার পর বন্ডে বাজার শক্তিশালী করার প্রতিশ্রুতি দেন এবং সেভাবেই উৎসাহমূলক নীতি ও বিধিমালা করে বন্ডকে উৎসাহ দিচ্ছেন। কিন্তু বন্ডে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা অনাগ্রহ দেখাচ্ছে। প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের ওপর বন্ড চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে বলে অভিমত প্রকাশ করছেন অনেক বাজার সংশ্লিষ্টজন।
এ প্রসঙ্গে বিএসইসি প্রধান বলেন, বন্ড ঝুঁকিহীন বিনিয়োগ, ধীরে ধীরে বিনিয়োগকারীরা এটি বুঝবেন এবং আগ্রহী হবেন।
চলতি বছরে শেষে বাজার কোথায় যেতে পারে? এই প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, বাজার এগিয়েছে তবে আরও অনেক দূর এগোনোর জায়গা আছে।
তার মতে করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসা এবং বাজার উন্নয়নে অনেক কাজের সুফল হিসেবে এ বছরের শেষে শেয়ারবাজার আরো ভালো অবস্থায় যাওয়ার অনেক কারণ আছে।
একাত্তর/এসি
মন্তব্য
এই নিবন্ধটি জন্য কোন মন্তব্য নেই.