জ্বালানি তেলের দাম বেড়ে যাওয়ার প্রভাব পড়বে সব শিল্প খাত ও উপখাতে। কারখানা মালিক এবং রপ্তানিকারকরা বলছেন, কাঁচামাল আনা থেকে শুরু করে ক্রেতার কাছে পণ্য পৌঁছে দেওয়া পর্যন্ত ব্যয় বাড়লে স্থানীয় রপ্তানি বাজার হারানোর শঙ্কা আছে। দেশের বড়, ক্ষুদ্র এবং মাঝারি শিল্প সবাই এতে দুর্বল হবে, আশঙ্কা করছে এফবিসিসিআই।
লোকসানের অজুহাতে সম্প্রতি জ্বালানি তেলের দাম লিটারে ১৫ টাকা বাড়িয়েছে সরকার। শিল্প মালিকরা বলছেন, এতে পন্য আনা নেয়ায় ২৩ শতাংশ আর গড় উৎপাদন খরচ বাড়বে অন্তত ৩ শতাংশ।
আর রপ্তানিকারকরা বলছেন, প্রতিবছরই বিভিন্ন খরচ বেড়ে প্রতিযোগিতা স্বক্ষমতায় পিছিয়ে পড়ছে বাংলাদেশ। জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধিতে আবারও উৎপাদন ব্যয় বাড়লো, যদিও বিদেশি ক্রেতারা পন্যের দাম বাড়াবেন না।
ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই বলছে, করোনা কেটে যাওয়ার কালে শিল্প কাঁচামালের দাম বাড়ায় আমদানি বাবদ সরকারের রাজস্ব বাড়ছে। এই অবস্থায় কর কমিয়ে সমন্বয়ের মাধ্যমে ব্যবসায়ীদের খরচ কমানোর দরকার ছিলো। উল্টো বাড়ানো হলো জ্বালানি তেলের দাম।
বলেন, জ্বালানি তেলের দাম বাড়ার অন্যতম কারণ সরকারি সংস্থাগুলোর মুনাফালোভী মনোভাব। হঠাৎ করে লিটারে ১৫ টাকা না বাড়িয়ে ধীরে ধীরে তেলের সমন্বয় করা হলে এই ধাক্কা সামলানো যেতো।
মন্তব্য
এই নিবন্ধটি জন্য কোন মন্তব্য নেই.