বঙ্গপোসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় 'জাওয়াদ' এর প্রভাব পড়তে শুরু করেছ সাতক্ষীরায়। জেলার সর্বত্র আকাশ মেঘাচ্ছন্ন রয়েছে। সকাল থেকেই গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় উপকূলীয় আশ্রয়কেন্দ্রগুলোকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
শনিবার (৪ ডিসেম্বর) উপকূলীয় উপজেলা আশাশুনী ও শ্যামনগরে নদীতে স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে কয়েক ফুট পানির উচ্চতা বৃদ্ধি পেয়েছে।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির জানিয়েছেন, ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদ মোকাবেলায় সকল প্রকার প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। বিশেষ করে উপকূলীয় উপজেলার সকল আশ্রয়কেন্দ্রগুলোকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
সাতক্ষীরা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জুলফিকার আলী রিপন জানান, ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের প্রভাবে দক্ষিনাঞ্চল, বিশেষ করে সাতক্ষীরা অঞ্চলে হালকা থেকে মাঝিারি ধরনের বৃষ্টিপাত হতে পারে সাথে দমকা ও ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।
আরও পড়ুন: লাল কার্ড দেখালো শিক্ষার্থীরা, রোববার প্রতীকী লাশ মিছিল
তিনি আরও জানান, পশ্চিম-মধ্য বঙ্গপোসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণীঝড় জাওয়াদ আরও উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে সকালে পায়রা সুমদ্র বন্ধর থেকে ৮৯৫ কিলোমিটার দক্ষিণ দক্ষিনে অবস্থান করছিলো।
এরইমধ্যে মংলা সমুদ্র বন্দরকে দুই নম্বার দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উত্তর বঙ্গপোসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারসমূহকে উপকূলের কাছাকছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
একাত্তর/আরবিএস
মন্তব্য
এই নিবন্ধটি জন্য কোন মন্তব্য নেই.