ভারতকে বলা হয় সিইও ফ্যাক্টরি। বিশ্বে বড় বড় সব প্রতিষ্ঠানের সিইও পদের দিকে তাকালেই মিলবে এর সত্যতা। এর প্রথম এবং জনপ্রিয় উদাহরণ গুগলের সিইও সুন্দার পিচাই। এছাড়াও রয়েছে মাইক্রোসফটে সাত্তা নাডেল্লাসহ আরো বেশ কিছু ভারতীয়দের নাম। এ তালিকায় নতুন যোগ হয়েছে টুইটারের নতুন সিইও পারাগ আগারওয়াল।
গুগল, মাইক্রোসফট, আইবিএম, এডোবি ইনক, মাইক্রন টেকনোলজি, রেকট বেনকিজার, আইবিএম, মাস্টারকার্ড এবং টুইটার এই কোম্পানিগুলোর মাঝে এক নজরে দুটি মিল খুঁজে পাবেন। এক, এসবই মার্কিন কোম্পানি। দুই, এসব কোম্পানির সিইও আছেন বা ছিলেন ভারতীয়।
গুগলের প্যারেন্ট কোম্পানি এ্যালফাবেটের সিইও হিসেবে আছেন সুন্দার পিচাই, মাইক্রোসফটে সাত্তা নাডেল্লা, আইবিএম এ আরভিন্ড ক্রিশনা, এডবির শানতানু নারায়ান, মাস্টারকার্ডের আজায় ভাগনা এবং সম্প্রতি এ তালিকায় যুক্ত হওয়া টুইটারের নতুন সিইও পারাগ আগারওয়াল। যাকে সর্বকনিষ্ঠ সিইওর খেতাবও মিলেছে। এরা সকলেই কোম্পানীর এক্সপানশন অথবা খারাপ সময়ে কোম্পানীর হাল ধরেছেন এবং সফল হয়েছেন। কিন্তু মার্কিন কোম্পানীগুলোতে ভারতীয় সিইও নিয়ে কেন এই রীতি?
আরও পড়ুন: করোনায় মৃত্যু আঠাশ হাজার ছাড়ালো
ব্লুমবার্গ-এর প্রতিবেদনে উঠে আসে এনিয়ে মতামত। তাদের গবেষণায় বেশ কয়েকটি দিক এক্ষেত্রে গুরুত্ব পায়। এর মধ্যে প্রথম হচ্ছে ভারত প্রায় ১৪০ কোটি লোকের দেশ। হাজার হাজার ভিন্ন ভিন্ন ভাষা, ভিন্ন সংস্কৃতি, অনুন্নত অবকাঠামো, নাগরিক সুবিধার অনেক কিছুই যেখানে অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে অর্জন করতে হয় এ রকম জায়গায় টিকে থাকতে দরকার ভিন্ন ও দ্রুত সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষমতা। আর তাই নানা চ্যালেঞ্জ খুব সহজেই পার করতে পারে ভারতীয়রা।
আর এজন্যই ভারতীয় সিইওদের উপর ভরসা মার্কিনিদের অনেক। এর সাথে আরও একটি কারণ হচ্ছে বাজার ও ভোক্তা বোঝার ও ভবিষ্যৎ আন্দাজের ক্ষমতা। ভারতে বিশাল এবং নানা শ্রেণীর ও আয়ের ভোক্তা থাকায় সেখানকার কাজ করা লোকোদের বাজার ব্যবস্থা নিয়ে বড় অভিজ্ঞতা থাকে। যা কোম্পানির ভবিষ্যতের জন্য লাভজনক। আর তাই ভারতীয় সিইও-রাই থাকেন মার্কিন কোম্পানিদের নজরে। আর এ কথা স্বয়ং বলেছিলেন গুগলের চেয়ারম্যান জন হেনেসসি।
২০২১ সালে বিশ্বে টপ কোম্পানিগুলোর সিইও মধ্যে ১৫ শতাংশই ভারতীয়রা। আর এই ১৫ শতাংশেই রয়েছে নামীদামী বড় বড় সব কোম্পানি। এই তালিকায় নতুন যোগ হওয়া টুইটারের সিইও বাকি ভারতীয় সফল সিইওর তালিকায় নাম লিখাতে পারেন কিনা সেটাই বড় চ্যালেঞ্জ। কারণ তাকে প্রথমেই সমাধান দিতে হবে টুইটারে ভুয়া ও মিথ্যা তথ্য প্রচারের দীর্ঘদিনের জট নিয়ে।
একাত্তর/এআর
মন্তব্য
এই নিবন্ধটি জন্য কোন মন্তব্য নেই.