ইথিওপিয়ার একটি শরণার্থী শিবিরে বিমান হামলা চালানোর ঘটনায় নারী ও শিশুসহ ৫৬ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। একই ঘটনায় আহত হয়েছে আরও ৩০ জন।
শনিবার (৮ জানুয়ারি) স্থানীয় কর্তৃপক্ষ ও প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে দুই দাতব্য কর্মী ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে হতাহতের এই তথ্য জানিয়েছেন।
পূর্ব আফ্রিকার দেশটির উত্তরাঞ্চলের টাইগ্রে অঞ্চলের দেদেবিত শহরের কাছের এক শরণার্থী শিবিরে ওই বিমান হামলা চালানো হয়। শহরটির সঙ্গে প্রতিবেশী দেশ ইরিত্রিয়ার সীমান্ত রয়েছে।
গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার অনুমতি না থাকায় নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই দুই কর্মী জানিয়েছেন, স্থানীয় কর্তৃপক্ষ বিমান হামলায় নিহতের তথ্য নিশ্চিত করেছে। হাসপাতালে শিশুসহ অন্যান্য আহতদের চিকিৎসা নেওয়ার ছবি রয়টার্সের কাছে পাঠিয়েছেন তাইগ্রের ওই দুই দাতব্য কর্মী।
এ বিষয়ে দেশটির সেনাবাহিনীর মুখপাত্র কর্নেল গেতনেত আদানে এবং সরকারের মুখপাত্র লিগেসে তুলুর মন্তব্যের জন্য যোগাযোগ করা হলেও তাৎক্ষণিকভাবে তাদের কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে রয়টার্স।
এর আগে, টাইগ্রে বিদ্রোহীদের সঙ্গে গত ১৫ মাসের সংঘাতে বেসামরিক নাগরিকদের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করার অভিযোগ অস্বীকার করেছে ইথিওপিয়ার সরকার।
এদিকে, শুক্রবার (৭ জানুয়ারি) বিদ্রোহী গোষ্ঠী টাইগ্রে পিপলস লিবারেশন ফ্রন্টের (টিপিএলএফ) বেশ কয়েকজন নেতাকে কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটির সরকার।
শুক্রবার (৭ জানুয়ারি) এক বিবৃতিতে দেশটির সরকারি যোগাযোগ দপ্তর জানিয়েছে, ১৫ মাসের যুদ্ধের পর বিরোধীদের সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করে তাদের সাথে আলোচনায় বসতে প্রস্তুত সরকার। প্রধানমন্ত্রী আবির আহমেদ আহমেদের মতে, জাতীয় একতা অর্জনের লক্ষ্যে এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।
মুক্তি পাওয়া নেতাদের মধ্যে রয়েছেন টাইগ্রে পিপলস লিবারেশন ফ্রন্টের (টিপিএলএফ) বেশ কয়েকজন শীর্ষ নেতাসহ অন্যান্য গোষ্ঠীর নেতারা।
সরকারের এই পদক্ষেপকে অভ্যন্তরীণ যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে মনে করা হচ্ছিল।
রয়টার্সের তথ্যমতে, এই বিমান হামলার আগেও গত ১৮ অক্টোবর থেকে টাইগ্রেতে চলা ইথিওপিয়ার সরকারের বিমান হামলায় অন্তত ১৪৬ জন মানুষের মৃত্যু হয়েছে এবং এতে আহত হয়েছে ২১৩ জন।
একাত্তর/এসএ
মন্তব্য
এই নিবন্ধটি জন্য কোন মন্তব্য নেই.