আফ্রিকার সর্বাধিক জনবহুল দেশ নাইজেরিয়ার জামফারা রাজ্যে সশস্ত্র গোষ্ঠীর হামলায় নিহত হয়েছেন অন্তত ২০০ জন গ্রামবাসী। এ হামলায় শতাধিক আহতের পাশাপাশি এখনও নিখোঁজ রয়েছেন বেশ কয়েকজন।
রোববার (৯ জানুয়ারি) স্থানীয় অধিবাসীদের বরাতে এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান। শনিবার তিন শতাধিক অস্ত্রধারী আটটি গ্রামে এ হামলা চালায় এবং নির্বিচারে গুলিবর্ষণ করে সাধারণ মানুষকে হত্যা করে।
এদিকে এখন পর্যন্ত কোনো দল বা সংগঠন এ হামলার দায় স্বীকার করেনি। তবে প্রতিবেশী দেশ মালি ও বারকিনা ফাসোর মতো নাইজেরিয়াও ইসলামী জঙ্গি গোষ্ঠী আল কায়েদা ও আইএসের নিয়মিত টার্গেটে পরিণত হয়েছে বলে অভিযোগ করছেন স্থানীয়রা।
ক্ষতিগ্রস্ত গ্রামের কমিউনিটি নেতা বালারাবে আলহাজি জানিয়েছেন, সশস্ত্র গোষ্ঠীর হামলায় নিহতদের মধ্যে ১৪৩ জনকে কবর দেওয়া হয়েছে এরইমধ্যে।
দেশটির সামরিক বাহিনী জানিয়েছিলো, গত সোমবার (৩ জানুয়ারি) ভোরে জামফারা রাজ্যের গুসামি বন ও পশ্চিম তাসামরে গ্রামে সশস্ত্র গোষ্ঠীর লক্ষ্যবস্তুতে বিমান হামলা চালানো হয়। এতে তাদের দুই নেতাসহ ১০০ জনেরও বেশি জঙ্গি নিহত হয়।
স্থানীয়দের ধারণা, সামরিক বাহিনীর বিমান হামলার প্রতিশোধ নিতেই গ্রামবাসীর ওপর এ হামলা চালানো হয়েছে।
নাইজেরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুহাম্মাদু বুহারি শনিবার এক বিবৃতিতে জানান, হামলাকারীদের খুঁজে বের করতে এরইমধ্যে অভিযানে নেমেছে দেশটির সামরিক বাহিনী।
আরও পড়ুন: মিতু হত্যা: নিজের করা মামলায় গ্রেপ্তার বাবুল আক্তার
হামলার সময় স্ত্রী ও তিন সন্তানকে হারানো এক বাসিন্দা উম্মারু মেকারি জানান, হামলায় নিহত ১৫৪ জন গ্রামবাসীকে সমাধিস্থ করেছেন তারা। তার মতে, মৃতের সংখ্যা কমপক্ষে ২০০।
নাইজেরিয়ার যেসব রাজ্যে নিয়মিত অপহরণের ঘটনা ঘটে, জামফারা তার অন্যতম। গত বছরের সেপ্টেম্বর থেকে সেখানে টেলিযোগাযোগ বন্ধ রেখেছে কর্তৃপক্ষ।
২০১২ ও ২০১৩ সালের পর থেকে আফ্রিকার বড় একটি অংশের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয় সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলো। এরপর থেকেই সেখানকার সাধারণ মানুষ নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। গ্রামগুলোতে অভিযান চালিয়ে অপহরণ, গরু চুরি ও ঘরবাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার মতো ঘটনা ঘটছে। তাছাড়া প্রায়ই পশ্চিমা সেনাদের সঙ্গে সংঘর্ষের মধ্যে পড়ে নিহত হচ্ছে সাধারণ মানুষ।
একাত্তর/আরবিএস
মন্তব্য
এই নিবন্ধটি জন্য কোন মন্তব্য নেই.