দেশে আবারো করোনা সংক্রমণ বাড়তে শুরু করলেও সরকার এখনই লকডাউন দেয়ার কথা ভাবছে না বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে মোমেন।
রোববার (৯ জানুয়ারি) ঢাকায় নিযুক্ত বিশ্বের বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও তাদের স্বজনদের জন্য করোনার বুস্টার ডোজের উদ্বোধন করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী একথা জানান।
রাজধানীর মহাখালীতে শেখ রাসেল জাতীয় গ্যাস্ট্রোলিভার ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে বুস্টার ডোজ দেয়ার এই কার্যক্রম চলছে।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বুস্টার ডোজ দেবেন এমন ২৭০ জনের নামের তালিকা তারা পেয়েছেন। সবশেষ ২৬টি দেশের দূতাবাসের কর্মকর্তারা সেখানে টিকা নিয়েছেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, দেশে লকডাউনের চিন্তাভাবনা নেই। সংক্রমণ বাড়ার কারণে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানানো হয়েছে। একই সঙ্গে গণপরিবহনে ভিড় কমানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, বিদেশ ভ্রমণে সবাইকে নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে। বিশেষ করে জনগণকে বাঁচাতে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে ভ্রমণে স্বাস্থ্য নিরাপত্তা জোরদার করা হচ্ছে।
মন্ত্রী বলেন, ‘কোভিড-১৯ মোকাবিলায় আমরা সর্বাত্মক চেষ্টা করছি। তবে ওমিক্রন এসে গেছে। আমি জানি না এটা কি! ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছি তিনি আমাকে বলেছেন, একদিনেই ভারতে লাখের ওপর ওমিক্রনে আক্রান্ত হচ্ছে। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রে একদিনে ১০ লাখ লোক আক্রান্তের খবর মিডিয়া প্রচার করেছে। যা হোক আমরা ভালো আছি।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, ‘ভালো খবর হচ্ছে ওমিক্রনের আক্রান্তদের মৃত্যুহার অনেক কম। অনেক মানুষ বেশি সাবধান থাকতে চায়, তাই তারা লকডাউন চাচ্ছেন। কোভিড-১৯ মহামারি আমাদের উপলব্ধি করিয়েছে এটিকে একক দেশ হিসেবে আমরা একা সামলাতে পারব না। এ চ্যালেঞ্জ আমাদের একে অন্যের সহযোগিতায় মোকাবিলা করতে হবে।’
ইতিমধ্যে দেশে সাড়ে সাত কোটি মানুষকে টিকা দেয়া উল্লেখ করে মোমেন বলেন, প্রথম দিকে টিকা পেতে বাংলাদেশের অসুবিধা হলে অনেক দেশই এগিয়ে এসে টিকা দান করে। এখন আমি বলতে পারি আমাদের হাতে সাড়ে তিন কোটি টিকা রয়েছে বা পেতে যাচ্ছি। দেশের সকলকেই টিকা আওতায় আনা হবে।
এদিকে, জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাংলাদেশি নাগরিকদের ভারত ভ্রমণে নিরুৎসাহিত করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামী।
কূটনীতিকদের টিকার বুস্টার ডোজ কর্মসূচির উদ্বোধনীতে এসে তিনি বলেন, ভারতে করোনা বাড়ছে। সে কারণে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাংলাদেশি নাগরিকদের ভারতে ভ্রমণ না করাই ভালো। তবে ভারতে যাওয়ার জন্য স্থলবন্দর খোলা থাকবে। ভিসাও চালু থাকবে।
শেখ রাসেল হাসপাতালে বুস্টার ডোজ নিয়ে ভারতের হাইকমিশনার সাংবাদিকদের আরো বলেন স্থল বন্দর দিয়ে যাতায়াত ও ভিসা কার্যক্রম খোলা থাকছে। তবে আগামী ১১ জানুয়ারি থেকে বিদেশ থেকে আসা যাত্রীদের বাধ্যতামূলক সাত দিন কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে।
একাত্তর/আরএ
মন্তব্য
এই নিবন্ধটি জন্য কোন মন্তব্য নেই.