সপ্তাহের ব্যবধানে সারাদেশে সব ধরনের চালের দাম কেজিতে দুই থেকে তিন টাকা বেড়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছে মধ্য ও নিম্ন আয়ের মানুষেরা।
চালের দাম বৃদ্ধির জন্য পাইকারী ও খুচরা ব্যবাসায়ীরা দুষছেন মিলারদের। তবে মিলাররা জানিয়েছেন, ধানের দাম বেড়ে যাওয়া উৎপাদন খরচ বেড়ে গেছে।
দেশের বৃহত্তম চালের মোকাম কুষ্টিয়ার খাজানগর। নতুন ধান বাজারে ওঠার পরও সেখানে চালের দাম বাড়ছে হু হুকরে। যার প্রভাব পড়ছে সারাদেশে ভাত খাওয়া মানুষের ওপর।
এক সপ্তাহ আগে মিনিকেট চাল ৬০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। এখন দুই টাকা বেড়ে সেই চালের দাম ৬২ টাকা। কাজললতা হয়েছে ৫৬ টাকা আর বি-আর-২৮ ৫০ টাকা।
তবে কী কারণে চাল কিনতে বাড়তি টাকা দিতে হচ্ছে জানা নেই ক্রেতাদের। তারা জানান, দাম শুধু বেড়েই যাচ্ছে, কিন্তু কি কারণে বাড়ছে তারা বুঝতে পারছেননা।
চাল কল মালিকরা বলছেন, ধানের দাম বেশি থাকার কারণে চালের বাজারে এই প্রভাব পড়ছে।সেই সঙ্গে ডিজেলের দাম বেড়ে যাওয়ায় বেড়েছে পরিবহন খরচ।
একইভাবে দিনাজপুরে কোনো কারণ ছাড়াই হঠাৎ চালের দাম কেজি প্রতিবেড়েছে ৩ থেকে ৪ টাকা। এতে ৫০ কেজি চালের বস্তা বাড়তি ১৫০ থেকে ২০০ টাকায় কিনতেহচ্ছে।
পাইকারি বিক্রেতাদের অভিযোগ, মিলারদের কাছে পর্যাপ্ত চাল মজুত থাকার পরও বেশি দামনিচ্ছে। তবে, মিল মালিকদের দাবি, অতিরিক্ত কোনো চালের মজুত নেই তাদের কাছে।
কুমিল্লাতেও তিন থেকে পাঁচ টাকা বেড়েছে সব ধরনের চালের দাম। এতে সংসারের হিসাব মিলাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে ক্রেতাদের।
অন্যদিকে, খুলনার চালের দাম বাড়ার জন্য পাইকার ও খুচরাবিক্রেতাকে দায়ী করেছেন মিল মালিকরা। তাদের দাবি, ধানের সাথে চালের দাম সমন্বয় করে বেধে দেয়া হোক।
একাত্তর/এসএ
মন্তব্য
এই নিবন্ধটি জন্য কোন মন্তব্য নেই.