আগামী বৃহস্পতিবার থেকে অর্ধেক যাত্রী নিয়ে বাস চলার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন দেশের বেশিরভাগ বাস মালিক। অবশ্য মালিক-শ্রমিকরা বলছেন, ভাড়া না বাড়ালে অর্ধেক যাত্রী নিয়ে গাড়ি চালানো সম্ভব নয়।
সেইসাথে তারা দ্রুত অর্ধেক যাত্রী পরিবহনের এই বার্তা সারাদেশে পৌঁছে দেয়ার আহবান জানিয়েছেন। কারণ হিসেবে তারা বলছেন, অনেকেই এখনও জানে না সরকারি পরিপত্রের খবর। যার ফলে এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে দেখা দিতে পারে অসুবিধা।
মঙ্গলবার (১১ জানুয়ারি) দেশের বিভিন্ন জায়গায় একাত্তরের প্রতিনিধিদের অর্ধেক যাত্রী পরিবহনের এই নির্দেশনা নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানান পরিবহন মালিক-শ্রমিকরা।
কুমিল্লায় সরকারি সিদ্ধান্ত মানতে প্রস্তুত রয়েছেন বাস মালিক-শ্রমিকরা। কেন্দ্রীয় বাস মালিক সমিতির সহসভাপতি ও জেলা মালিক গ্রুপের সভাপতি কবির আহমেদ ভূইঁয়া জানান, আগের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনেই পরিবহন চলবে।
তবে বাস কাউন্টারের অনেকেই এখনও সরকারি পরিপত্রের খবর জানে না বলে দাবি করেছেন তিনি।
এদিকে, বাস ভাড়ার বিষয়টি চূড়ান্ত না হওয়ায় দ্বিধায় রয়েছে সিরাজগঞ্জের বাস মালিক-শ্রমিক সবাই। ফেডারেশনের নির্দেশের পর তারা সিদ্ধান্ত নেবেন বলে জানিয়েছেন সমিতির সাধারণ সম্পাদক।
আরও পড়ুন: ভাড়া নিয়ে সিদ্ধান্ত না হওয়া পর্যন্ত আগাম টিকিট বিক্রি বন্ধ
অর্ধেক যাত্রী নেয়ার সরকারি সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন গাজীপুরের পরিবহন মালিক-শ্রমিক ও যাত্রীরা।
তবে মালিকপক্ষ জানান, অর্ধেক যাত্রী নিতে গিয়ে ভাড়া বাড়ালে যাত্রীরা বেশি ভাড়া দিতে রাজি হন না।
টাঙ্গাইলে প্রজ্ঞাপন জারির বিষয়টি জানলেও, এখনো কোনো নির্দেশ পাননি জেলার বাস-মিনিবাস মালিকরা। অর্ধেক যাত্রী নিয়ে চলতে হলে ভাড়াও বাড়ানোর দাবি করেন তারা।
বগুড়ার দূরপাল্লার বাস মালিকরা এখনো নতুন কোন নির্দেশনা না পেলেও গণমাধ্যমের মাধ্যমে জানতে পেরেছেন বলে জানান। তারা বলছেন, একই ভাড়ায় যাত্রী নিতে হলে সমস্যায় পড়বেন তারা।
আর মাদারীপুরের মালিক-শ্রমিক নেতাদের দাবি, ৬০ ভাগ বাস ভাড়া আদায়ে তাদের সহায়তা করতে হবে সরকারকে।
উল্লেখ্য, করোনা মহামারির মধ্যে গত বছর এবং তার আগের বছর অর্ধেক যাত্রী নিয়ে গণপরিবহন চলার সময় ভাড়া ৬০ শতাংশ বাড়ানো হয়েছিল।
একাত্তর/এসজে
মন্তব্য
এই নিবন্ধটি জন্য কোন মন্তব্য নেই.