রংপুরের পীরগাছায় সাত বছরের একটি শিশুকন্যাকে অপহরণের পর দাবি করা মুক্তিপণ না পেয়ে হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় দুইজনকে আমৃত্যু কারাদণ্ড ও লাখ টাকা জরিমানার আদেশ দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (১১ জানুয়ারি) দুপুরে রংপুরের নারী শিশু নির্যাতন দমন আদালত-২ এর বিচারক রোকনুজ্জামান এ আদেশ দেন।
নৃশংসতায় নিহত শিশুটির নাম রিয়ামনি (৭)। সে পীরগাছা উপজেলার পরান তাম্বুলপুর গ্রামের আব্দুর রহিমের মেয়ে। রিয়ামনি প্রথম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল।
সাজা পাওয়া আসামিরা হলেন, পীরগাছা উপজেলার তাম্বুলপুর ইউনিয়নের পরান গ্রামের আবুল কালামের ছেলে রাসেল মিয়া (১৯) এবং ওই গ্রামের আব্দুর রহিমের ছেলে সালাউদ্দিন তালুকদার (২০)। এদের মধ্যে সালাউদ্দিন পলাতক।
মামলার বিবরণে জানা গেছে ২০১৩ সালের ২৪ ডিসেম্বর সালাহ উদ্দিন ও রাসেলসহ অন্যরা অপহরণ করে রিয়ার বাবা ও স্বজনদের ফোন করে চার লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। টাকা না পাওয়ায় তারা শিশুটিকে জুসের মধ্যে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে খাইয়ে গলায় পা দিয়ে চেপে ধরে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। পরে লাশ আসাসিদের বাড়ির অদূরে একটি সেপটিক ট্যাংকে ফেলে দেয়।
এক পর্যায়ে পুলিশ রাসেল ও তার সহযোগী সালাউদ্দিনকে গ্রেপ্তার করে। পরে তাদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী ২৫ দিন পর রিয়ামনির লাশ উদ্ধার করে।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় ‘হানি ট্র্যাপ’ চক্রের নারীসহ পাঁচ সদস্য আটক
এ ঘটনার নিহতের বাবা আব্দুর রহিম বাদি হয়ে পীরগাছা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা দায়ের করে। তদন্ত শেষে পুলিশ রাসেল ও সালাহউদ্দিনসহ সাত আসামির বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে।
মামলায় ১৪ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য ও জেরা শেষে আদালত সালাহউদ্দিন ও রাসেলকে দোষি সাব্যস্ত করে আমৃত্যু কারাদণ্ডের আদেশ এবং মামলার অপর পাঁচ আসামিকে বেকসুর খালাস দেন। রায় ঘোষণার সময় রাসেল কাঠগড়ায় উপস্থিত থাকলেও সালাহউদ্দিন পলাতক থাকায় তার নামে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আদেশ দেন আদালত।
একাত্তর/এসি
মন্তব্য
এই নিবন্ধটি জন্য কোন মন্তব্য নেই.