করোনা সংক্রমণের বিস্তার ঠেকাতে সরকার ঘোষিত বিধিনিষেধ অনুযায়ী মোট আসন সংখ্যার অর্ধেক যাত্রী নিয়ে ট্রেনে চললেও, তা ঠিকমতো পালন করা হচ্ছে না।
অর্ধেক আসন ফাঁকা রাখার কথা বলা হলেও, পাশাপাশি বসেই গন্তব্যে যাচ্ছেন যাত্রীরা। আবার করোনা ঝুঁকির মধ্যেই কাউন্টার থেকে গাদাগাদি করে টিকেটও কাটছেন তারা।
অন্যদিকে, রাজধানীসহ সারাদেশে বাসে সব সিটে যাত্রী নিয়ে চলাচল করছে। মালিকপক্ষে নতুন বিধিনিষেধ পালনে কথা দিলেও, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তা উপেক্ষিত থেকে গেছে।
শনিবার দুপুরে কমলাপুর স্টেশনে গিয়ে দেখা গেলো টিকেট কাউন্টার লম্বা লাইন। আসন কমে যাওয়ায় লোকাল, মেইল আর কমিউটার ট্রেনের টিকেটে যেন সোনার হরিণ।
আন্তঃনগর ট্রেনের টিকেট কাউন্টারের চিত্রও একই। ধারণক্ষমতার অর্ধেক আসনের টিকেটের ৫০ শতাংশ বিক্রি হচ্ছে অনলাইনে।
বাকি ৫০ শতাংশ টিকেটের জন্যে করোনার ঝুঁকির মধ্যেও দীর্ঘ লাইনে গাদাগাদি করে অপেক্ষায় যাত্রীরা। স্টেশনেও যাত্রীরা ঢুকছেন উদাসীনভাবে। অনেকেই খুলে ফেলছেন মাস্ক।
আবার কমলাপুর স্টেশন থেকে ৭৪ জোড়া আন্তঃনগর আর ১৪০ জোড়া লোকাল, মেইল ও কমিউটার ট্রেনের অধিকাংশেই যাত্রীরা বসেছেন পাশাপাশি আসনে বসে।
কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনের স্টেশন মাস্টার মাসুদ সারওয়ার জানালেন, জরিমানার পাশাপাশি কঠোর না হলে করোনার বিধিনিষেধ মানানো যাবে না। সেই পথেই যাবেন তারা।
এদিকে, যাত্রী ওঠানোর বিষয়ে অস্পষ্টতা না কাটায়, সব আসনে যাত্রী নিয়েই চলছে রাজধানীতে চলাচলকারী বাসগুলো। মানতে হচ্ছে করোনার বিধিনিষেধ।
চালক-হেলপারের থাকতে হচ্ছে টিকার সনদ। না থাকলে তাদের গাড়ি থেকে নামিয়ে দিচ্ছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। এনিয়েও ক্ষোভও জানিয়েছেন পরিবহন শ্রমিকরা।
স্বাস্থ্যবিধি মেনে বাস চালাতে বিআরটিএর দেয়া নির্দেশনায় বলা হয়েছে, গণপরিবহনে যাত্রী, চালকসহ সংশ্লিষ্ঠ সবার মাস্ক ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে।
একই সঙ্গে হ্যান্ড স্যানিটাইজারের ব্যবস্থা রাখতে হবে। সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে গণপরিবহনে যাত্রী ওঠানামা করতে হবে।
যাত্রার শুরু এবং শেষে মোটরযান পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করাসহ জীবাণুনাশক দিয়ে মোটরযান জীবাণুমুক্ত করতে হবে। যাত্রীদের মালপত্রে জীবাণুনাশক ছিটাতে হবে।
বলার অপেক্ষা রাখে না, রাজধানীর বিভিন্ন পয়েন্ট ঘুরে এসব নির্দেশনার খুব কম মানতেই দেখা গেছে। যাত্রীরা বলছেন, সরকারি নজরদারি ছাড়া নির্দেশনা মানানো কঠিন হবে।
একাত্তর/ এনএ
মন্তব্য
এই নিবন্ধটি জন্য কোন মন্তব্য নেই.