নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন (নাসিক) নির্বাচনে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভোটারদের উপস্থিতিও বাড়তে শুরু করেছে। সকাল থেকে শীত ও কুয়াশায় ভোটারের সংখ্যা খানিকটা কম দেখা গেলেও দুপুরেরই বদলে যায় এই দৃশ্য। তরুণ ভোটার থেকে শুরু করে বয়স্করা দলে দলে ভোট দিতে কেন্দ্রগুলো আসেন। তবে ভোটকেন্দ্রে নারী ভোটারদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো।
নাসিক নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তা মাহফুজা আক্তার বলেন, সবকিছু বিবেচনায় সার্বিক পরিবেশ ভালো বলা চলে। প্রথমদিকে ভোটারদের উপস্থিতি কম ছিল। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে উপস্থিতি বাড়ছে এবং উৎসবমুখর পরিবেশ তৈরি হচ্ছে।
তিনি বলেন, কত শতাংশ ভোট পড়েছে তার গড় হিসাব এখনও করা হয়নি। ১, ২ ও ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের বেশ কয়েকটি কেন্দ্র আমিসহ সংশ্লিষ্টরা পরিদর্শন করেছি। তাতে মনে হয়েছে, ভোটারদের সমাগম বাড়ছে এবং প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে ভোট দেওয়ার গতি সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে।
ইভিএমের কারণে ভোটগ্রহণে ধীরগতি প্রসঙ্গে প্রিজাইডিং অফিসার আবু খালেদ মোহাম্মদ রায়হান বলেন, প্রথমদিকে একটু সময় লাগছিল। এখন ভোটদানের গতি বাড়ছে, ভোটারদের উপস্থিতিও বাড়ছে।
আরও পড়ুন: নাসিক নির্বাচনে ভোটগ্রহণে ধীরগতির অভিযোগ
এদিকে, ১৬নং ওয়ার্ডের দেওভোগ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্র পরিদর্শন করে তৈমুর আলম খন্দকার অভিযোগ করেন, ইভিএমের কারণে ভোট দিতে দেরি হচ্ছে। লাইনে দাঁড়িয়ে থেকেও মানুষ ভোট দিতে পারছেন না। ত্রুটিপূর্ণ মেশিনের কারণে এমন ভোগান্তি হচ্ছে।
এদিকে ভোটগ্রহণে ধীরগতির অভিযোগ করেছেন আওয়ামী লীগের সেলিনা হায়াৎ আইভী ও স্বতন্ত্র প্রার্থী তৈমুর আলম খন্দকার।
এর আগে ‘লক্ষাধিক ভোটে তার জয় হবে’ বলে ঘোষণা দেন তৈমুর আলম খন্দকার। পরে ভোট দিয়ে শতভাগ জয়ের ব্যাপারে আশাবাদ জানান আইভি।
একাত্তর এসি
মন্তব্য
এই নিবন্ধটি জন্য কোন মন্তব্য নেই.