ভারতে টানা দ্বিতীয় দিনের মতো করোনায় দৈনিক সংক্রমিতের সংখ্যা কমলো।
সেই সঙ্গে কমেছে পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার। এতে কিছুটা হলেও স্বস্তি দেখছে দেশটি।
ভারতের জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, দেশজুড়ে টিকা কর্মসূচি আবারও
জোরদার করার সুফল পেতে শুরু করেছে মানুষ।
বছরের শুরু থেকে ভারতে আবারও ১৫-১৮ বছর বয়সীদের টিকাদান শুরু হয়েছে।
পাশাপাশি ফ্রন্টলাইন যোদ্ধা ও কো-মর্বিডিটি রয়েছে এমন ষাটোর্ধ্বদেরও দেয়া হচ্ছে বুস্টার
ডোজ।
মঙ্গলবার, ভারতের কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ের দেয়া তথ্য অনুযায়ী,
গেলো ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন দুই লাখ ৩৮ হাজার ১৮ জন।
অন্যান্য রাজ্যের তুলনায় এখনও মহারাষ্ট্র, পশ্চিমবঙ্গ, দিল্লি, তামিলনাড়ু
ও কর্ণাটক সংক্রমণের হার বেশি। তবে, এসব রাজ্যেও দৈনিক সংক্রমণ কিছুটা কমেছে।
দেশটিতে বর্তমানে চিন্তা বাড়াচ্ছে নতুন ধরন ওমিক্রন। সেখানে ওমিক্রনে
সংক্রমিতের সংখ্যা বেড়ে হল আট হাজার ৮৯১। সোমবারের তুলনায় যে বৃদ্ধির হার ৮.৩১ শতাংশ
বেশি।
এদিকে, করোনায় গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে মারা গেছেন ৩১০ জন। এতে দেশটিতে
মোট মৃতের সংখ্যা চার লাখ ৮৬ হাজার ৭৬১ জন। আর শনাক্তের হারও কমে দাঁড়িয়েছে ১৪.৪৩ শতাংশ।
ভারতে করোনায় চিকিৎসাধীন রোগী ১৭ লাখ ৩৬ হাজার ৬২৮ জন। এখনও পর্যন্ত
দেশটিতে তিন কোটি ৫৩ লাখ ৯৪ হাজার ৮৮২ জন করোনা থেকে মুক্ত হয়েছেন।
ভারতে এখনও পর্যন্ত ১৫৮ কোটির বেশি ডোজ করোনার টিকা দেয়া হয়েছে। যার মধ্যে সোমবার ৭৯ লাখ টিকার ডোজ পেয়েছেন দেশটির বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ।
একাত্তর/টিএ
মন্তব্য
এই নিবন্ধটি জন্য কোন মন্তব্য নেই.