নীলফামারীর ডিমলায় পঞ্চম শ্রেণীর এক শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের মামলায় দুই কিশোরকে গ্রেপ্তারের পর কিশোর সংশোধনাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (১৮ জানুয়ারি) বিকেলে আসামিদের নীলফামারী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালত-২ এ হাজির করা হলে বিচারক তাদেরকে যশোর কিশোর সংশোধনাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এর আগে সোমবার রাতে উপজেলার ঝুনাগাছ চাপানী ইউনিয়নের ভেলসিপাড়া গ্রামের আলাদা দু’টি স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন ওই গ্রামের মোশাররফ হোসেনের ছেলে সুজন ইসলাম এবং আমিনুর রহমানের ছেলে আলিনুর ওরফে বুলু বাদশা।
ডোমার-ডিমলা সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার আলী মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ জানান, সোমবার দুপুরের দিকে ওই কিশোরীকে বাড়িতে রেখে তার বাবা-মা পার্শ্ববর্তী গ্রামের এক আত্মীয়ের জানাজায় অংশ নিতে যান।
এ সুযোগে কিশোরীকে বাড়িতে একা পেয়ে সুজন ও তার বন্ধু বুলু বাদশা পালাক্রমে ধর্ষণ করে অচেতন অবস্থায় বাড়িতে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়।
আরও পড়ুন: স্বামীকে হত্যায় স্ত্রী ও তার প্রেমিকের যাবজ্জীবন
পরে ওই কিশোরীকে উদ্ধার করে প্রথমে ডিমলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে নীলফামারী জেনারেল হাসপাতালে স্থানান্তর করেন।
সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। বর্তমানে সে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
এ ঘটনায় ওই কিশোরীর বড় ভাই বাদি হয়ে সোমবার রাতেই সুজন ও বুলু বাদশাকে আসামি করে ডিমলা থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের দুই ঘণ্টার মধ্যে আসামিদের গ্রেপ্তার করে মঙ্গলবার বিকেলে নীলফামারী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালত-২ এ হাজির করে পুলিশ।
পরে বিচারক ওই দুই আসামিকে যশোর কিশোর সংশোধনাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
মন্তব্য
এই নিবন্ধটি জন্য কোন মন্তব্য নেই.