মালয়েশিয়া যেতে এবার লাখ টাকারও কম খরচ হবে বলে জানিয়েছেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমেদ।
একাত্তরকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, সিন্ডিকেট নয়, দেশ এবং কর্মীর স্বার্থ রক্ষা হয় এমনভাবেই মালয়েশিয়ার সাথে সমঝোতা স্মারকটি তৈরি করা হয়েছে।
এদিকে, কর্মী পাঠানোর পুরো প্রক্রিয়া এবং অভিবাসন ব্যয় ঠিক করতেই ২৫ জানুয়ারি ঢাকা আসছেন দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
গত ১০ ডিসেম্বর কৃষি, উৎপাদন, পরিসেবা, খনি, খনন, নির্মাণ ও গৃহকর্মী বিদেশ থেকে নিতে সিদ্ধান্ত নেয় মালয়েশিয়ার মন্ত্রিসভায়।
ওই সিদ্ধান্তের পর বাংলাদেশ থেকে কর্মী নিতে আগ্রহ জানায় দেশটি। আর, ১৯ ডিসেম্বর কুয়ালালামপুরে কর্মী নিয়োগে বাংলাদেশ-মালয়েশিয়ার মধ্যে সমঝোতা স্মারক সই হয়।
এরই ধারাবাহিতায় চলতি মাসেই কর্মী নেয়ার প্রক্রিয়া শুরু করে মালয়েশিয়া। দেশটিতে যেতে ইচ্ছুক কর্মীরা আগামী ২৮ জানুয়ারি থেকে অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন।
এবার যারাই মালয়েশিয়া কাজের জন্য যাবেন, তাদের নিবন্ধন থাকতে হবে সরকারের ডাটা ব্যাংকে। এজন্য খুব শিগগিরই বিজ্ঞাপন দিয়ে নিবন্ধনের আহবান জানানো হবে।
আরও পড়ুন: এখনই বন্ধ হচ্ছে না শিক্ষা প্রতিষ্ঠান: দীপু মনি
তবে, কত টাকায় এবং কবে থেকে কর্মী যেতে পারবে সে বিষয়টি একমাসেও ঠিক করা সম্ভব হয়নি। গুজব রয়েছে দু’দেশেই নতুন চক্র তৈরি হচ্ছে। যার কারণে বাড়বে অভিবাসন ব্যয়।
প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমেদ বলেন, প্রথমে মালয়েশিয়ার মানবসম্পদ মন্ত্রণালয় শ্রমিক নিতে আগ্রহী প্রতিষ্ঠানকে অনুমোদন দেবে।
তিনি জানান, অনুমোদন পাওয়া প্রতিষ্ঠান নিজেদের চাহিদার কথা বাংলাদেশ হাইকমিশনকে জানাবে। সেখান থেকে দেশে আসবে। এক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানটির প্রতিনিধি বিষয়টি দেখবে।
মন্ত্রী বলেন, যখন বিষয়টি বাংলাদেশে চলে আসবে, তখন সেখানে তার মন্ত্রণালয়ের নিয়ন্ত্রণ ক্ষমতা থাকবে। ফলে, ইচ্ছেমতো অভিবাসন ব্যয় আদায়ের সুযোগ নেই।
ইমরান আহমেদ জানান, চুক্তি অনুযায়ী মালয়েশিয়ার যাওয়ার পর বাংলাদেশি কর্মীর ইমিগ্রেশন ভিসা, স্বাস্থ্য পরীক্ষা, বীমা, করোনা টেস্ট, কোয়ারেন্টাইন ব্যয় নিয়োগকর্তা বহন করবে।
অন্যদিকে, এখানে কর্মীর খরচ বলতে তার গ্রামের বাড়ি থেকে ঢাকায় আসার খরচ, পাসপোর্ট তৈরি, বিএমইটি ফি, কল্যাণ বোর্ডের সদস্য ফি, মেডিক্যাল ফি এবং রিক্রুটিং এজেন্সির চার্জ।
এসব মিলিয়ে একজন শ্রমিকের ব্যয় এক লাখ টাকার নিচেই থাকবে বলে আশ্বস্ত করেছেন প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে স্থগিত হয় বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়াতে কর্মী পাঠানো। নির্ধারিত খরচের চেয়ে চারগুণ বেশি টাকা নেওয়ার অভিযোগে বন্ধ হয় কর্মী নেয়া।
একাত্তর/এসজে
মন্তব্য
এই নিবন্ধটি জন্য কোন মন্তব্য নেই.