করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সারাদেশের টিকা কার্যক্রমও বাড়ানো হয়েছে। বুস্টার ডোজ নেয়ার মাত্রাও বেড়েছে। একই সঙ্গে চলছে শিক্ষার্থীদের দেয়া।
বন্দর নগরী চট্টগ্রামে এখন করোনা সংক্রমণের হার প্রায় ৩১ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় ৩ হাজার ১৯২টি নমুনা পরীক্ষায় ৯৮৯ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।
তাদের মধ্যে মহানগরে ৮২৯ এবং উপজেলায় পর্যায়ে ১৬০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। একই সময়ে করোনায় একজনের মৃত্যু হয়েছে।
উপজেলায় পর্যায়ে সর্বোচ্চ ৫১ জন শনাক্ত হয়েছে হাটহাজারীতে। রাংগুনিয়ায় ২২, সীতাকুন্ডে ২০, মিরশ্বরাইয়ে ১৩, রাউজানে ১১, ফটিকছড়ি ও সাতকানিয়ায় ১০ জন করে ২০ জন ও আনোয়ারায় ৯ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।
চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. ইলিয়াস চৌধুরী বলছেন, সংক্রমণের গতি কমাতে স্বাস্থ্যবিধির পাশাপাশি টিকা দেয়ার বিকল্প নেই। তারা সেই চেষ্টাই করে যাচ্ছেন।
খুলনায় এখন পর্যন্ত টিকার জন্য নিবন্ধন করেছেন ১৪ লাখ ৯২ হাজার ৬৬ জন। টিকা নিয়েছেন ১৩ লাখ পঞ্চাশ হাজার মানুষ। ভিড় বেড়ে যাওয়ায় কেন্দ্রের সংখ্যা বাড়ানোর দাবি করেছে মানুষ।
খুলনা নগরীতে স্কুলশিক্ষার্থীদের টিকা প্রদানের ক্ষেত্রেও ব্যাপক অব্যস্থাপনার অভিযোগ উঠেছে। স্বাস্থ্যবিধি না মানায় শিক্ষার্থীদের ঘণ্টার পর ঘণ্টা গাদাগাদি করে লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে।
এতে অনেকেই অসুস্থ্য হয়ে পড়ছেন। ফলে টিকা নিতে এসে প্রতিরোধের পরিবর্তে করোনা সংক্রমণের আশঙ্কা বেড়ে যাচ্ছে।
রাজশাহী মহানগরীতে করোনা সংক্রমণ। এখন সাত শতাংশের ওপরে। সেখানে দুই হাসপাতালে প্রতিদিন প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজের টিকা পাচ্ছেন এক হাজার দুশ’ থেকে এক হাজার তিনশ’ জন।
পাশাপাশি তিনশ থেকে চারশ মানুষ পাচ্ছেন টিকার বুস্টার ডোজ। তবে, বয়স্কদেরচেয়েও দ্বিগুণ আগ্রহে টিকা নিচ্ছে স্কুলের শিক্ষার্থীরা।
ময়মনসিংহেও টিকা কেন্দ্রে ভিড় বেড়েছে। জেলায় প্রথম ডোজ টিকা নিয়েছেন ২৭ লাখ, দুই ডোজ সাড়ে ১৮ লাখ। এছাড়া ৩ লাখ ২৬ হাজার শিক্ষার্থী পেয়েছে প্রথম ডোজের টিকা।
বরিশালে সিটি কর্পোরেশনের তিনটি কেন্দ্রে প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ পাওয়া পাঁচজন পর পর একজনকে বুস্টার ডোজ দেয়া হচ্ছে। সেখানে প্রতিদিন টিকা পাচ্ছেন দেড় হাজার মানুষ।
একাত্তর/এসএ
মন্তব্য
এই নিবন্ধটি জন্য কোন মন্তব্য নেই.