রাজধানী ঢাকার কোভিড হাসপাতালগুলোতে প্রতিদিন গড়ে ১০ থেকে ২০ শতাংশ করে ভর্তি রোগী বাড়ছে। করোনা চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের কেউ টিকা নিয়েছেন বা কেউ নেয়নি।
কোভিড বিশেষজ্ঞরা দাবি করছেন, করোনা শনাক্ত বেড়ে যাওয়ার পেছনে অতি সংক্রামক ধরন ওমিক্রনের প্রভাবই দায়ী। তবে ওমিক্রনের লক্ষণ মৃদু হবার কারণে মৃত্যু হার কম থাকবে।
তবে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বরাত দিয়ে বিশেষজ্ঞরা সবাইকে সতর্ক করে দিয়ে বলছেন, এই ধরনের বিস্তার বেশিদিন হলে আগামীতে আরো ক্ষতিকর ধরন সৃষ্টি হতে পারে।
মহাখালী ডিএনসিসি হাসপাতালে বাড়ছে করোনা রোগীদের ভিড়। সাত দিন আগেও যেখানে ভর্তি ছিলো মাত্র ১০ জন রোগী। এখন রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৯১ জন।
চিকিৎসকরা বলছেন, করোনার এক ডোজ টিকাও নেননি হাসপাতালে এমন রোগীদের ভর্তির হারই বেশি। আর রোগীদের ৭০ শতাংশই আসছেন ঢাকার বাইরে থেকে।
করোনা চিকিৎসার বিশেষায়িত এই হাসপাতালে গত ২৪ ঘণ্টায় ১৪ জনসহ হাসপাতালটির বর্তমান ভর্তি রোগীর সংখ্যা ৯১ জন। যার মধ্যে আইসিইউতে আছেন ২৬ জন।
কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালেও একই চিত্র বিরাজ করছে। সাত দিন আগের চিত্রের সাথে এই মুহূর্তের ছবির রয়েছে বিরাট ফারাক।
পূর্বে রোগী না থাকলেও এখন এই হাসপাতালে শ্বাসকষ্ট নিয়ে রোগীরা চিকিৎসার অপেক্ষায় আছে। সেখানের ১০ বেডের আইসিইউ খালি নেই। দ্রুত ভরে যাচ্ছে সাধারণ বেডও।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বরাত দিয়ে বিশেষজ্ঞরা বলছেন দ্রুত সংক্রমণ বাড়ার এই প্রবণতা করোনার ওমিক্রন ধরনের ইঙ্গিতই দিচ্ছে।
আরও পড়ুন: সারাদেশে মাস্ক পরায় অনীহা, নির্বিকার প্রশাসনও
তবে ডেলটা ধরনের মতো এটি ফুসফুসে সংক্রমণ না ঘটিয়ে নাক ও গলায় সংক্রমণ ঘটায়। তাই মৃদু উপসর্গের রোগীরাও করোনা পজিটিভ শনাক্ত হচ্ছেন।
করোনার অন্যান্য ধরনের মতো ওমিক্রন মোকাবেলায় টিকা নেয়ার পাশাপাশি মাস্ক ব্যবহার এবং স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করা ছাড়া বিকল্প নেই বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
একাত্তর/আরএ
মন্তব্য
এই নিবন্ধটি জন্য কোন মন্তব্য নেই.