রাজধানীর হাসপাতাল কিংবা নমুনা সংগ্রহের বুথে সব জায়গাতেই বাড়ছে করোনা আক্রান্ত মানুষের ভিড়। সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে প্রতিদিনই এই ভিড় বিস্তৃত হচ্ছে।
সপ্তাহের ব্যবধানে যেমন তিন গুণ হয়েছে, মানুষের লাইন তেমনি শনাক্তের হারও বেড়েছে কয়েকগুণ। এসব কেন্দ্রে গত দু’একদিনেই শনাক্তের হার বেড়ে ৫০-৬০ শতাংশে পৌঁছেছে।
যদিও শনিবার সারাদেশে এই হার ২৮ শতাংশ। আক্রান্তের সংখ্যাটাও থাকছে দশ হাজারের কাছাকাছি। তবে বেড়েছে মৃত্যুর সংখ্যা।
ঢাকায় হাসপাতালগুলো বাদে করোনার নমুনা পরীক্ষার জন্য নগরীতে বুথ আছে ২৩টি। এসব বুথে এখন দারুণ ব্যস্ততা। কারণ করোনা পরীক্ষার জন্য লাইন বড় হচ্ছে প্রতিদিনই।
দশ দিন আগেও যেখানে ১৫-২০ জন মানুষ যেতেন করোনা পরীক্ষার জন্য, সেখানে এখন যাচ্ছেন দেড় থেকে দুইশ’র বেশি মানুষ।
এসব বুথে সাধারণত বেলা এগারটা পর্যন্ত নমুনা নেয়ার কথা থাকলেও অতিরিক্ত ভিড়ের কারণে দুপুর একটা পর্যন্তও চলে সেই কাজ।
তবে শঙ্কার জায়গাটা হচ্ছে যারা পরীক্ষা করছেন, তাদের ৫০ থেকে ৬০ শতাংশই করোনা পজেটিভ হিসাবে শনাক্ত হচ্ছেন।
হাসপাতালের বুথগুলোতেও একই চিত্র। সাতদিন আগেও যেখানে ৩০ জনের পরীক্ষা হতো এখন আরটি পিসিআর আর এন্টিজেন মিলে প্রায় আড়াইশ মানুষের নমুনা পরীক্ষা হচ্ছে প্রতিদিন। মুগদা হাসপাতালেও করোনা শনাক্তের হার ৫০ থেকে ৬০ শতাংশ।
আরও পড়ুন: নগরীর সব করোনা হাসপাতালেই বাড়ছে রোগীর ভিড়
রাজধানীর হাসপাতালগুলোর যখন এই পরিস্থিতি তখন সারাদেশেও পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ছুঁয়েছে ২৮.০২ শতাংশ। আক্রান্তে শনাক্ত হয়েছেন ৯৬১৪ জন। আর মারা গেছে ১৭ জন। হাসপাতালে রোগী ভর্তির সংখ্যাটাও বাড়ছে ধীরে ধীরে।
একাত্তর/আরএ
মন্তব্য
এই নিবন্ধটি জন্য কোন মন্তব্য নেই.