করোনা ভাইরাসের অতি সংক্রামক ওমিক্রন ধরনে গুরুতর অসুস্থতা থেকে উচ্চ মাত্রায় সুরক্ষা দেয় দুই ডোজ টিকা ও বুস্টার ডোজ।
যুক্তরাষ্ট্রের রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ সংস্থা- সিডিসি বড় পরিসরে পরিচালিত এক গবেষণায় এমন তথ্য জানা গেছে।
শুক্রবার এক প্রতিবেদনে জরিপের বিস্তারিত তুলে ধরে সংস্থাটি। সিডিসির গবেষণা বলছে, ওমিক্রনের ক্ষেত্রে দ্বিতীয় ডোজ টিকা নেয়ার ১৭৯ দিন পর্যন্ত কার্যকারিতা ৮১ শতাংশ।
আর, বুস্টার ডোজ নেয়ার ১৪ বা তারও বেশিদিন পর পর্যন্ত কার্যকারিতা ৯০ শতাংশ। সেই সঙ্গে করোনার বুস্টার ডোজ নেয়া লোকেরা ওমিক্রন থেকে দ্রুত সুস্থও হয়ে উঠেছে।
আর, ডেলটায় দুই ডোজ টিকা নেয়ার পরে গুরুতর অসুস্থতা থেকে সুরক্ষা দিতে টিকার কার্যকারিতা ছিল ১৪ থেকে ১৭৯ দিন পর্যন্ত।
আর দ্বিতীয় ডোজ টিকা নেয়ার ১৮০ দিনেরও বেশি সময় পর্যন্ত কার্যকারিতা থাকে ৮১ শতাংশে। বুস্টার ডোজ নেয়ার ১৪ বা তার বেশি দিন পরে কার্যকারিতা থাকে ৯৪ শতাংশ।
সিডিসি কর্মকর্তারা বলছেন, দুই ডোজ টিকা ও বুস্টার ডোজ নেয়া লোকেরা করোনার বিরুদ্ধে ভালোভাবে লড়াই করতে পারছে এবং খুব দ্রুতই তাদের শরীরে অ্যান্টিবডি পুনরুদ্ধার হচ্ছে।
ওমিক্রন প্রতিরোধে ফাইজার বা মডার্না টিকার তিন ডোজের কার্যকারিতা সবচেয়ে ভালো বলেও তারা মনে করছে সিডিসি।
এই দুই টিকার দুই ডোজ গ্রহণে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধে ৯৪ শতাংশ সুরক্ষা পাওয়া গেলেও ওমিক্রনের বিরুদ্ধে এর কার্যকারিতা কমে ৮২ শতাংশে নেমে আসে।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে করোনা পরীক্ষায় অর্ধেকের বেশি পজেটিভ
জরিপে বিশেষজ্ঞরা শুধু সংক্রমণই নয়, গুরুতর রোগ প্রতিরোধের ওপরও জোর দিয়েছেন। সেই হিসেবে আশার খবর, টিকার তৃতীয় ডোজ ওমিক্রনের বিরুদ্ধে অন্তত ৯০ শতাংশ কার্যকারিতা।
গবেষণা দলের অন্যতম সদস্য সিডিসির এমা অ্যাকরসি বলেছেন, এটি সত্যি যে, একটি বুস্টার ডোজ ওমিক্রনের বিরুদ্ধে সুরক্ষা দিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
একাত্তর/আরএ
মন্তব্য
এই নিবন্ধটি জন্য কোন মন্তব্য নেই.