করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে অর্ধেক জনবল দিয়ে সরকারি-বেসরকারি সব প্রতিষ্ঠান পরিচালনার নির্দেশনার পরদিনও সচিবালয়ে সেটি বাস্তবায়ন হয়নি।
তবে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী বলছেন, দ্রুতই এই নির্দেশনা বাস্তবায়ন করা হবে। সাধারণ মানুষকে স্বাস্থ্যবিধি মানাতে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান জোরদার করা হবে।
রোববার সন্ধ্যায় মন্ত্রীপরিষদ বিভাগের এক প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে এবার সব সরকারি-বেসরকারি অফিস অর্ধেক কর্মকর্তা ও কর্মচারী নিয়ে পরিচালনা করতে হবে।
বাকি অর্ধেক কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা নিজ কর্ম এলাকায় অবস্থান করে দাপ্তরিক কাজ ভার্চুয়ালি সম্পন্ন করবেন। এই সিদ্ধান্ত সোমবার থেকে বাস্তবায়ন শুরু হয়ে চলবে ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।
নতুন বিধিনিষেধে আরও বলা হয়, সুপ্রিমকোর্ট আদালতগুলোর বিষয়ে নির্দেশনা জারি করবে। আর আর্থিক প্রতিষ্ঠানের বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেবে বাংলাদেশ ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধু মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় ভবনের আগুন নিয়ন্ত্রণে
তবে এসব নির্দেশনা জারির পরদিন, সোমবার প্রশাসনের কেন্দ্রবিন্দু সচিবালয়ে গিয়ে দেখা যায় অর্ধেক জনবলের বিষয়টি সেখানেই কার্যকর হয়নি।
তবে, জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেছেন, দু’একদিনের মধ্যেই নির্দেশনা বাস্তবায়ন হবে। স্বাস্থ্যবিধি মানার বিষয়টি সবচেয়ে গুরুত্ব দেয়া হবে। কাজ করবে মোবাইল কোর্টও।
তিনি বলেন, অর্ধেক জনবল নিয়ে অফিস করার সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন শুরু করেছে সরকার। এক্ষেত্রে গর্ভবতী নারী এবং অসুস্থ ব্যক্তিরা বাসা থেকে অফিস করবেন
দেশে সংক্রমণের হার এখন ৩০ শতাংশের ওপরে। সংক্রমণের উর্ধ্বগতি বিবেচনায় এক সপ্তাহ পর আবারও বৈঠক করা হবে হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতি দেখে আগামী এক সপ্তাহ পর চলমান বিধি নিষেধের বিষয়ে পরবর্তী নির্দেশনা দেয়া হবে।
জনগণকে স্বাস্থ্যবিধি মানাতে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হবে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, সবাইকে মাস্ক পরে বাইরে আসতে হবে। এই ব্যাপারে সবাইকে জানানো হবে।
তিনি জানান, সবাইকে আগে থেকে সতর্ক করে নিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালনা করা হবে। তখন কারো মুখে মাস্ক না থাকলে জরিমানা করা হবে।
তিনি বলেন, যেহেতু তৃতীয় ঢেউয়ে আছি, আমাদের প্রথম ও দ্বিতীয় ঢেউয়ে এ রকম নির্দেশনা ছিল, সেগুলো আমরা বাস্তবায়ন করেছি।
এদিকে, গত ১০ জানুয়ারি মন্ত্রীপরিষদ বিভাগ থেকে ১১ দফা বিধিনিষেধ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়, যা কার্যকর হয় ১৩ জানুয়ারি থেকে।
একাত্তর/এআর
মন্তব্য
এই নিবন্ধটি জন্য কোন মন্তব্য নেই.