পশ্চিমবঙ্গের
নির্বাচনকে বলা হচ্ছে তারকাযুদ্ধ।
তার অবশ্য কারণও আছে।
প্রধান দুই প্রতিপক্ষ তৃণমূল ও বিজেপি- উভয়েই দলে টেনেছেন এক ঝাঁক সিনে তারকাকে।
আর নতুনদের সঙ্গে তো পুরনো তারকারা আছেনই।
ফলে হঠাৎ করে ভোটের মাঠকে মনে হতে পারে টলিউডের কোন সিনে পাড়া বুঝি।
এবার
যারা রাজনীতির ময়দানে নেমেছেন, তারা রাজনীতিন অ-আ বোঝার
আগেই নেমে পড়েছেন ভোটযুদ্ধে।
ইন্দ্রনীল ঘোষ, রাজ চক্রবর্তী, শ্রাবন্তী,
সায়নী ঘোষ, পার্নো মিত্র, তনুশ্রী
চক্রবর্তী মতো রুপোলি পর্দার বাঘা বাঘা মুখোগুলো এখন করজোড়ে দ্বারে দ্বারে যাচ্ছেন, দিচ্ছেন প্রতিশ্রুতি, চাচ্ছেন ভোট।
ভবানীপুরের মতো গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রের প্রার্থী রুদ্রনীল ঘোষ অবশ্য রাজনীতিতে নতুন নন। কিন্তু
এবারের নির্বাচন তাঁর জন্যও প্রথম। বিজেপির
এই প্রার্থী জানান, জনগণের রায় পেলে তিনি সব ধর্মকে এক করেই কাজ করতে চান।
তিনি মনে করেন, বিজেপি ‘মুসলিম-বিরোধী বলে যে অপপ্রচার চলছে, তা বন্ধ হওয়া দরকার'।
এদিকে,
ব্যারাকপুরে তৃণমূলের হয়ে মাঠে নেমেছেন
পরিচালক ও অভিনেতা রাজ চক্রবর্তী।
তাঁকে বিরোধীরা ‘বহিরাগত’ বললেও
তা নিয়ে মাথা ঘামাতে নারাজ তিনি।
তাঁর ভাষায় রায় পেলে এলাকাকে সন্ত্রাসমুক্ত করাই হবে তার প্রথম কাজ।
সেই সঙ্গে এলাকায় পানি সংকটেরও অবসান করতে চান এই নামী পরিচালক।
নিজের
কেন্দ্র বরাহনগরকে পুরোপুরি চেনে ওঠার কাজ শেষ করতে না পারলেও, কাজে নেমে পড়েছেন বিজেপির আর এক তারকা প্রার্থী পার্নো মিত্র।
তার মতে সেখানে গেল দশ বছরে কোন উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি, তিনি সেই ছোঁয়া দিতে চান।
পার্নোর
মতোই বিজেপির আরেক তারকা প্রার্থী শ্রাবন্তী লড়ছেন বেহালা পশ্চিম থেকে।
তাঁর দাবি ছোটবেলা কেটেছে বেহালাতেই, কাজেই এটি তার নিজের ঘর।
বিপক্ষে রয়েছেন রাজ্যের মন্ত্রী তথা অত্যন্ত হেভিওয়েট নেতা পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
রাজনীতিতে
খুব একটা অভিজ্ঞতা নেই, তবে অভিনেত্রী হওয়ার কারণে জনসংযোগ কিভাবে বাড়ানো সম্ভব সেটা তিনি খুব ভালোভাবেই জানেন।
প্রচার শুরু করার সাথে সাথেই শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়কে দেখা গিয়েছিল মাঠে নেমে পড়তে।কখনো পায়ে হেঁটে আবার কখনো হুড খোলা গাড়িতে প্রচার সারছেন বিজেপি প্রার্থী।
শ্রাবন্তীর
মতোই দিনমান প্রচারে ব্যস্ত সময় পর করছেন অভিনেত্রী সায়নী ঘোষ।
নির্বাচনের আগে যিনি শিরোনামে ছিলেন নানা বিতর্কের জন্ম দিয়ে।
তৃণমূলের হয়ে টিকেট পেয়েই সেই সায়নী নিজের কেন্দ্র আসানসোল দক্ষিণের ঘরে ঘরে প্রচার চালাচ্ছেন।
বলছেন ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তৃতীয়বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী হচ্ছেন, এর বাইরে আর কিছু ভাবছি না।
ফলাফল যা-ই হোক,
সক্রিয় রাজনীতি চালিয়ে যাব।
কৃষ্ণনগর
উত্তর কেন্দ্রে বিজেপির মুকুল রায়ের বিরুদ্ধে কঠিন লড়াইয়ে নেমেছেন তৃণমূলের নতুন মুখ অভিনেত্রী কৌশানী মুখোপাধ্যায়।
তাঁর স্বপ্ন, আসনটি জিতে ‘দিদি’কে উপহার দেওয়া।
বিজেপির আরেক তারকা প্রার্থী যশ দাশগুপ্ত লড়ছেন হুগলির চণ্ডীতলা কেন্দ্রে। যেখানে অনেক চ্যালেঞ্জ তাঁর সামনে। জানালেন, জিততে পারলে তার কাজ হবে এলাকার জন্য নতুন নতুন রাস্তা তৈরি করা।
মন্তব্য
এই নিবন্ধটি জন্য কোন মন্তব্য নেই.