বঙ্গবন্ধু হত্যার পর সাত মার্চ নিয়ে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের উদ্যোগ থেকেই তার মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী অবস্থান পরিস্কার হয়ে যায় বলে মন্তব্য করেছেন ব্লগার অমি রহমান পিয়াল।
তিনি বলেন, ১৯৭১ সালের ৭ মার্চে বঙ্গবন্ধুর দেয়া ঐতিহাসিক ভাষণ পুরো জাতিকে স্বাধীনতার লড়াইয়ে অনুপ্রেরণা দিয়েছিল।
অন্যদিকে বঙ্গবন্ধু হত্যার পর ১৯৭৬ সালের ৭ মার্চ জিয়াউর রহমান হাঁটেন সম্পূর্ণ উল্টো পথে। পাকিস্তান শাসনের প্রতীক চাঁদ-তারা খচিত পতাকা প্রতিষ্ঠার দাবির মাধ্যমে তাদের স্বাধীনতা বিরোধী মনোভাব প্রকাশ পায়।
জিয়ার মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী নানা পদক্ষেপের সমালোচনা করে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের অ্যাক্টিভিস্ট অমি রহমান পিয়াল এক ভিডিওবার্তায় বলেন, বঙ্গবন্ধু ১৯৭১ সালে যেখানে ভাষণ দিয়েছিলেন ঠিক সেই জায়গাতেই ১৯৭৬ সালে সিরাতুন্নবী মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। জিয়া সেখানে উপস্থিত হতে না পারলেও, সেই দায়িত্ব তিনি দেন ডেপুটি এয়ার ভাইস মার্শাল এম জি তোয়াবকে।
ওই অনুষ্ঠানে মূল বক্তা ছিলেন মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত আসামি দেলোয়ার হোসেন সাঈদী। সেখানে আরও উপস্থিত ছিলেন পাকিস্তান ও লিবিয়া থেকে আগত রাষ্ট্রদূতগণ।
অনুষ্ঠানের কিছুক্ষণ পরপরই ধ্বনিত হচ্ছিল, ‘তোয়াব ভাই তোয়াব ভাই, চাঁদ তারা পতাকা চাই’ স্লোগান। বঙ্গবন্ধু হত্যার পর প্রথম ৭ মার্চে তাদের পদক্ষেপ থেকেই স্পষ্ট হয় যে তারা স্বাধীনতা বিরোধী নানা উপাদান দেশে পুনঃপ্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করছিলো।
এ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তাদের আন্তর্জাতিক অভিভাবক কারা তাও উন্মোচিত হয়েছিল বলে মন্তব্য করেন অমি রহমান পিয়াল।
মন্তব্য
এই নিবন্ধটি জন্য কোন মন্তব্য নেই.