করোনাভাইরাস শনাক্তে দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৩৪ হাজার ৬৩০টি নমুনার পরীক্ষা করা হয়েছে। এসময় করোনা ভাইরাসে শনাক্ত হয়েছেন সাত হাজার ৬২৬ জন, যা এযাবৎকালের সর্বোচ্চ। এদিন করোনায় ৩৯ জন পুরুষ ও ২৪ জন নারীসহ মোট ৬৩ জন মারা গেছেন।
মৃত ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন- ১১ থেকে ২০ বছরের একজন, ২১ থেকে ৩০ বছরের তিনজন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের দুইজন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের পাঁচজন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের ১২ জন এবং ষাটোর্ধ ৪০ জন।
মৃতদের মধ্যে সর্বমোট পুরুষ রয়েছেন ৭ হাজার ৮২ জন এবং নারী ২ হাজার ৩৬৫।
গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মৃতদের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ৪১ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ১০ জন, রাজশাহীর চারজন, খুলনা বিভাগে দুইজন, বরিশাল বিভাগে এক, সিলেটে তিনজন এবং ময়মনসিংহ বিভাগের দুইজন রয়েছেন।
এদিন মৃতদের সবাই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
এ পর্যন্ত দেশে শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়ালো ৬ লাখ ৫৯ হাজার ২৭৮ জন, মারা গেছেন ৯ হাজার ৪৪৭।
বুধবার নিয়মিত ব্রিফিংয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এ তথ্য জানায়।
এর আগে গতকাল মঙ্গলবার দেশে ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ মৃত্যুর রেকর্ড হয়। এ দিন ৬৬ জনের মৃত্যুর খবর জানায় স্বাস্থ্য অধিদফতর। এর আগে গত বছরের ৩০ জুন সর্বোচ্চ মৃত্যু ছিল ৬৪ জন।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত এক বছরের সব রেকর্ড ভেঙে গত ২৯ মার্চ করোনা শনাক্ত হন পাঁচ হাজার ১৮১ জন। সেই রেকর্ড ভেঙে আবার ৩১ মার্চ শনাক্ত হন পাঁচ হাজার ৩৮৫ জন। ১ এপ্রিল শনাক্তের শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়ায় ছয় হাজার ৪৬৯ জন। ২ এপ্রিল আবারও আগের রেকর্ড ভেঙে শনাক্ত দাঁড়ায় ছয় হাজার ৮৩০ জনে। এরপর ৪ এপ্রিল একদিনে শনাক্ত দাঁড়ায় সাত হাজার ৮৭ জন। গতকাল আগের রেকর্ড ভেঙে শনাক্ত হয় সাত হাজার ২১৩ জন। এরপর আজ দেশের ইতিহাসে আবার সর্বোচ্চ শনাক্ত পাওয়া গেলো।
স্বাস্থ্য অধিদফতর আরও জানায়, শনাক্ত বিবেচনায় গত ২৪ ঘণ্টায় প্রতি ১০০ নমুনায় ২২ দশমিক শূন্য ২ শতাংশ এবং এখন পর্যন্ত ১৩ দশমিক ৫০ শতাংশ শনাক্ত হয়েছে। শনাক্ত বিবেচনায় প্রতি ১০০ জনে সুস্থ হয়েছে ৮৫ দশমিক ১৯ শতাংশ এবং মারা গেছেন এক দশমিক ৪৩ শতাংশ।
মন্তব্য
এই নিবন্ধটি জন্য কোন মন্তব্য নেই.