আট লাখ ডোজের ঘাটতি নিয়ে বৃহস্পতিবার থেকে সারাদেশে একযোগে শুরু হবে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধী টিকার দ্বিতীয় ডোজ দেয়ার কার্যক্রম। একই সঙ্গে চলছে প্রথম ডোজ দেয়ার কর্মসূচি।
সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচি- ইপিআই বলছে, এখন পর্যন্ত প্রথম ডোজের টিকা দেয়া হয়েছে প্রায় ৫৫ লাখের বেশি। হাতে আছে ৪৭ লাখ ডোজ টিকা। দ্বিতীয় ডোজের কার্যক্রম চলার সময়েই আরো টিকা এসে যাবে। তাই আপাতত আট লাখের ঘাটতি থাকলেও এনিয়ে কোন সঙ্কট হবে না।
এরিমধ্যে, গাজীপুরে বেক্সিমকো ফার্মার ডিপো থেকে ফ্রিজার ভ্যানে করে দেশের বিভিন্ন জেলা শহরে পৌঁছে দেয়া হয়েছে টিকার দ্বিতীয় ডোজের চালন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে, এখন পর্যন্ত টিকা নিতে নিবন্ধন করেছেন ৬৯ লাখ ৬০ হাজার ৬২৫ জন। এদের মধ্যে ৫৫ লাখ ৫৫ হাজার ৬৭৫ জন টিকা নিয়েছেন।
কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের সিনিয়র নার্স রুনু ভেরোনিকা কস্তাকে করোনার টিকা দেওয়ার মধ্য দিয়ে গত ২৭ জানুয়ারি শুরু হয় দেশে করোনার প্রথম ডোজ দেয়ার কার্যক্রম। ওইদিন ২৬ জনকে টিকা দেওয়া হয়।
পরদিন ২৮ জানুয়ারি ঢাকার পাঁচ হাসপাতালে ৫৪১ জনকে পরীক্ষামূলকভাবে টিকা দেওয়া হয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রটোকল অনুযায়ী তাদের সবার অবস্থা পর্যবেক্ষণ করার পর ৭ ফেব্রুয়ারি সারা দেশে গণ টিকাদান শুরু হয়।
বাংলাদেশে দেওয়া হচ্ছে ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটে উৎপাদিত অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা। এ টিকার দুটি করে ডোজ নিতে হবে সবাইকে।
মন্তব্য
এই নিবন্ধটি জন্য কোন মন্তব্য নেই.