বাগেরহাটের মোংলায় বিবস্ত্র করে দুই ভাইকে নির্যাতন ও হত্যা চেষ্টা মামলার প্রধান আসামি ইউপি মেম্বার সুলতান হাওলাদারসহ (৫০) চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
রোববার (১৭ এপ্রিল) সন্ধ্যায় র্যাব খুলনার সদস্যরা গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বাগেরহাট জেলা সদরের ষাটগম্বুজ মসজিদ এলাকা থেকে এই চার আসামিকে গ্রেপ্তার করে। সোমবার সকালে র্যাব- ৬ এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
গ্রেপ্তারকৃত অপর তিনজন হলেন মামলার অপর আসামি খোকন ঘোষাল (৩০), বেল্লাল খাঁ (৪৫) ও মো. নিয়ামুল ব্যাপারী (৩০)। তাদের সকলের বাড়ি মোংলার চাঁদপাই ইউনিয়নের কানাইনগর ও কালিকাবাড়ী এলাকায়।
র্যাব জানায়, গত শনিবার সকালে মোংলা পৌর শহরের বাংলাদেশ হোটেলের সামনে থেকে বিনোদ সরকারকে তুলে নেয় মেম্বার সুলতান ও তার দুই ছেলেসহ অন্য সহযোগীরা। পরে সিঙ্গাপুর মার্কেটে ও কানাইনগরের গুচ্ছগ্রামে নিয়ে বিনোদ ও বিপ্লবকে বিবস্ত্র করে দফায় দফায় নির্যাতন চালায় মেম্বার গং। এ ঘটনায় শনিবার রাতে থানায় নির্যাতিতদের ভাই কুমুদ সরকার বাদি হয়ে উপজেলার চাঁদপাই ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার সুলতান হাওলাদার ও তার ছেলে জাকির হাওলাদার, কালাম হাওলাদারসহ ১৪ জনকে আসামি করে ৫০ হাজার টাকার মালামাল লুটসহ হত্যা চেষ্টা মামলা দায়ের করেন।
আরও পড়ুন: ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে দুই ভাইকে মারধরের অভিযোগ
মামলা দায়েরের পর রোববার সন্ধ্যায় র্যাব-৬ বাগেরহাট সদরের ষাটগম্বুজ মসজিদ এলাকা থেকে প্রধান আসামি মেম্বার সুলতান হাওলাদারসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারকৃতদেরকে মোংলা থানায় হস্তান্তর করেছে র্যাব।
সোমবার সকালে তাদেরকে বাগেরহাট জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন মোংলা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম। এর আগে রোববার সকালে মেম্বার পুত্র জাকিরকে আটক করে পুলিশ।
একাত্তর/আরবিএস
মন্তব্য
এই নিবন্ধটি জন্য কোন মন্তব্য নেই.