রাজধানীর নিউমার্কেট এলাকায় ব্যবসায়ী ও ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষের পরিস্থিতি শিগগিরই শান্ত হয়ে যাবে বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
নিরাপত্তা বাহিনী চরম ধৈর্য দেখাচ্ছে জানিয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সংঘর্ষের ঘটনায় দায়ি ব্যক্তিদের আইনের মুখোমুখি হতে হবে।
মঙ্গলবার (১৯ এপ্রিল) আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি পর্যালোচনা, গার্মেন্টস শ্রমিকদের বেতন-ভাতা পরিশোধ, সড়ক মহাসড়ক নিরাপদ ও যানজটমুক্ত রাখাসহ প্রাসঙ্গিক অন্য বিষয় নিয়ে সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ কথা জানান।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, নিরাপত্তায় বিশেষ বিশেষ মোড়ে চেকপোস্ট স্থাপন করা হবে। জালটাকা রোধেও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। কূটনৈতিক পাড়ায় বাড়ানো হচ্ছে নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
পোশাক শ্রমিকদের বেতন ও ছুটির প্রসঙ্গে কামাল বলেন, তাদের বিষয়ে নেওয়া সিদ্ধান্তগুলো বাস্তবায়নের জন্য বিজিএমইএ ও বিকেএমইএকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যদি এক সঙ্গে ছুটি দেওয়া না যায়, তবে পর্যায়ক্রমে ছুটি দিতে হবে। এতে সড়কে চাপও কমবে।
ঈদে ঘরমুখী মানুষের ভোগান্তি প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে বাস, ট্রেন, লঞ্চ চলাচল করতে পারবে না। যানজট নিরসনে হাইওয়ে পুলিশ, র্যাব, জেলা পুলিশ, নৌ পরিবহণ মন্ত্রণালয়, সড়ক বিভাগ দেখভাল করবে। নির্ধারিত ভাড়ার থেকে বেশি নেওয়া যাবে না।
তিনি বলেন, ২৫ তারিখের মধ্যে সকল মহাসড়ক সচল হয়ে যাবে। যে মহাসড়কে কাজ চলমান তা চলাচলের উপযুক্ত করা হবে। রাস্তায় চাঁদাবাজি বন্ধের ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। মহাসড়কে নসিমন, করিমন, থ্রি হুইলার উঠতে দেওয় হবে না।
যানজটের কারণ চিহ্নিত করা গেছে জানিয়ে কামাল বলেন, উন্নয়ন কাজ ও করোনার পর প্রথম ঈদ মার্কেটমুখী মানুষের জন্য যানজট সৃষ্টি হয়েছে। এর সমাধানে জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
এ সময় নিউমার্কেটে সংঘর্ষের ঘটনা প্রসঙ্গে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম বলেন, দুর থেকে দেখে ছোট মনে হলেও সেখানকার পরিস্থিতি ক্রিটিক্যাল। প্রাথমিকভাবে শ্রমিকদের শান্ত করা গেলেও, পরে অন্য মার্কেটের শ্রমিকরা এসে যুক্ত হয়েছে। আর ছাত্রদের সাথে নমনীয় আচরণ করতেই হবে। এখানে গুলি করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা যাবে না।
মঙ্গলবার (১৯ এপ্রিল) সকাল থেকে নীলক্ষেত মোড়ে অবস্থান নেন শিক্ষার্থীরা। এরপর শুরু হয় সংঘর্ষ। সকাল সাড়ে ১০টার পর নীলক্ষেত মোড় থেকে সায়েন্সল্যাব পর্যন্ত এলাকায় থেমে থেমে সংঘর্ষ চলে।
আরও পড়ুন: নিউমার্কেট এলাকা আবারও রণক্ষেত্র
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে পুলিশ। কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণের শব্দও পাওয়া যায়।
সংঘর্ষের এক পর্যায়ে বেলা ১১টার দিকে ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরা কলেজের গেটে এবং ব্যবসায়ীরা চন্দ্রিমা সুপার মার্কেটের সামনের সড়কে অবস্থান নেন।
ইটপাটকেল ছোড়াছুড়ি চলছে উভয়পক্ষের মধ্যে। উভয়পক্ষই ইটপাটকেল, লাঠিসোঁটা ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মুখোমুখি অবস্থান করছে। তাদের মধ্যে অনেকেই হেলমেট পরে সংঘর্ষে জড়ান।
একাত্তর/এসি
মন্তব্য
এই নিবন্ধটি জন্য কোন মন্তব্য নেই.