নিউইয়র্কে জমকালো আয়োজনে অনুষ্ঠিত হলো গোল্ডেন জুবলি কনসার্ট। ঐতিহাসিক ম্যাডিসন স্কয়ার গার্ডেনে বিশ্ব দেখলো স্বাধীনতার ৫০ বছর পর, বাংলাদেশ এখন কোথায় দাঁড়িয়ে।
কনসার্টে অংশ নেয় জার্মানির বিশ্ববিখ্যাত রক ব্যান্ডদল স্করপিয়ন্স। আর বাংলাদেশের চিরকুট। দুই দলের পরিবেশনা মুগ্ধ করেছে কনসার্টে আসার সবাইকে।
জার্মানির বিশ্বখ্যাত রকসঙ্গীতের দল স্করপিয়ন্সের আগুনধরা পরিবেশনা থেকে মনে হয়েছিল, তারা যেন অন্য কোন গ্রহ থেকে উড়ে এসেছেন।
জমকালো আলো আধারির মায়ায় মুগ্ধ করা এক একটি গানে গোটা মিলনায়ত জুড়ে তৈরি হয় অন্যরকম এক আবহ। যা বুঝিয়ে দেয়, কেন তারা সেরা।
তবে নিউইয়র্কের ঐতিহাসিক ম্যাডিসন স্কয়ার গার্ডেনে, গোল্ডেন জুবলি বাংলাদেশ কনসার্ট শুরু হয় বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীতের মধ্য দিয়ে।
শিল্পী কাদেরি কিবরিয়ার সঙ্গে জাতীয় সঙ্গীতে কণ্ঠ মেলান সেখানে উপস্থিত মন্ত্রী ও এমপিরা। স্বাগত বক্তব্যে তথ্য ও যোগযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী কনসার্ট আয়োজনের কারণ তুলে ধরেন।
জুনাইদ আহমেদ পলক জানান, কনসার্ট থেকে পাওয়া অর্থে দরিদ্র ও অনুন্নত দেশের শিশুদের সাইবার নিরাপত্তায় ব্যয় হবে। আর কাজটি করা হবে ইউএনডিপির সঙ্গে মিলে।
এরপর মঞ্চে আসে বাংলাদেশের জনপ্রিয় ব্যান্ডদল চিরকুট। ধনধান্যে পুষ্পে ভরা এই দেশের গানটি দিয়ে চিরকুট তাদের পরিবেশনা শুরু করে।
এ সময় চিরকুট ব্যান্ডের কণ্ঠশিল্পী ও দলনেতা শারমিন সুলতানা সুমী বলেন, ম্যাডিসন স্কয়ার গার্ডেনে গাইতে পারাটা তাদের জন্য বিরাট এক অর্জন।
অনুষ্ঠানে মিলনায়তন ভর্তি ছিল মানুষের ঢল। তাদেরকে সামনে নিয়ে বাংলাদেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতির চিত্র তুলে ধরে কয়েকটি ভিডিওচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
আরও পড়ুন: যাত্রীর সঙ্গে খারাপ আচরণে টিটিই’র বিরুদ্ধে ব্যবস্থা: রেলমন্ত্রী
গোল্ডেন জুবলি বাংলাদেশ কনসার্ট নিয়ে তাই প্রবাসীদের আগ্রহও ছিল অনেক। কনসার্ট দেখতে যাওয়া দর্শনার্থীরা জানিয়েছেন, এমন পরিচ্ছন্ন ও চমৎকার আয়োজন দেখে তাদের মনে হয়েছে, এ যেন তাদের জীবনের জন্য আনন্দ ও গর্বের খোড়াক হয়েই থাকবে।
একাত্তর/এসি
মন্তব্য
এই নিবন্ধটি জন্য কোন মন্তব্য নেই.