পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে মানিকগঞ্জের ঘিওরে দুই মেয়েসহ স্ত্রীকে গলাকেটে হত্যার অভিযোগ স্বীকার করেছেন দন্ত চিকিৎসক আসাদুজ্জামান রুবেল।
তিনি জানিয়েছেন, ঋণগ্রস্ত হয়ে মানসিক হতাশা থেকে স্ত্রী আর দুই মেয়েকে হত্যা করেন তিনি। তবে স্ত্রীর বাবার দাবি, এই হত্যাকাণ্ডে রুবেলের সাথে আরো কেউ জড়িত থাকতে পারে।
তিন সন্তানের মধ্যে বড় মেয়ে লাভলী একটু বেশি আদরের হওয়ায় বিয়ে দিয়ে কাছে রেখেছিলেন মা কমলা বেগম। প্রায় প্রতিদিনই মেয়েকে দেখতে পেতেন তিনি।
রোববার সকালে হঠাৎই খবর আসে লাভলী, দুই নাতনি ছোঁয়া আর কথা বেঁচে নেই। ঘরে গিয়ে দেখতে পান খাটের ওপর তিনজনের গলা কাটা নিথর দেহ পড়ে আছে।
স্বজনদের দাবি, কয়েকদিন আগে একজনকে ভুল চিকিৎসার কারণে রুবেলকে এক লাখ ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছিলো।
ছিলো অন্য ঋণের বোঝাও। আর এসব কারণে হতাশায় ভুগছিলেন বেশ কিছুদিন ধরে। আর সেই হতাশা থেকেই রুবেল স্ত্রী সন্তানকে হত্যা করেছে।
আটকের পর পুলিশের কাছেও এমন কথাই বলেছেন রুবেল। তিনি জানান, আত্মহত্যা করলে স্ত্রী সন্তানদের ঋণের বোঝা বইতে হবে।
এজন্য তাদেরকে নিয়েই পৃথিবী থেকে চলে যেতে চেয়েছিলেন। স্ত্রীসহ দুই মেয়েকে গলা কেটে হত্যার পর আত্মহত্যার চেষ্টাকালে তাকে আটক করে পুলিশ।
২০ বছর আগে রুবেল ও লাভলী ভালোবেসে ঘর বাঁধেন। দীর্ঘদিন ধরে তারা সুখে শান্তিতে সংসার করে আসছিলেন।
আরও পড়ুন: আবারো ভোজ্যতেলের বাজারে ভোক্তা অধিদপ্তর
১৫ বছর ধরে রুবেল আঙ্গুরপাড়ায় একই গ্রামে তার শ্বশুরবাড়ি থেকে পাওয়া জমিতে একটি ছাপড়া ঘরে বসবাস করে আসছিলেন।
রুবেলের স্ত্রী লাভলী আক্তারের বাবা মো. শাহাজুদ্দিন দাবি করেছেন, এই হত্যাকাণ্ডে রুবেলের সাথে আরো কেউ জড়িত থাকতে পারে।
রুবেলকে অভিযুক্ত করে লাভলীর বাবা বাদী হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। এরই মধ্যে আটক হয়েছেন অভিযুক্ত রুবেলকে।
একাত্তর/এসি
মন্তব্য
এই নিবন্ধটি জন্য কোন মন্তব্য নেই.