দাম বাড়ার পর এবার স্বাভাবিক হচ্ছে ভোজ্য তেলের বাজার। কারওয়ান বাজারের ডিলার, পাইকারি ও খুচরা সব দোকানেই আছে পর্যাপ্ত সয়াবিন তেল।
বিক্রিও হচ্ছে সরকারের বেঁধে দেয়া দামে। তবে দাম বাড়ার কারণে বেড়েছে এক লিটার ও দুই লিটার বোতলের চাহিদা। এক সঙ্গে বেশি তেল কিনতে চাচ্ছে না ক্রেতারা।
লিটারের পর লিটার সয়াবিন তেলের বোতল, দোকানে দোকানে খাবার তেল বিক্রি হচ্ছে বেধে দেয়া নতুন দামে।
বিশ্ববাজারে বাড়তি দামের কারণে দেশে প্রতি লিটার সয়াবিন ১৯৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর পাঁচ লিটারের বোতল ৯৮৫ টাকায়।
প্রায় হাজার টাকা দিয়ে পাঁচ লিটার তেল কিনতে গিয়ে অসহায়ত্বের কথা বলছেন সাধারণ মানুষ। জানতে চেয়েছেন দাম বাড়ার এই প্রবণতার শেষ কোথায়।
বাজারে আছে পর্যাপ্ত তেল। নতুন দামে পাইকারিতে ২০ টাকা কমে পাঁচ লিটার বোতল বিক্রি করছেন ডিলাররা। তবে এক ও দুই লিটার তেলের পর্যাপ্ত সরবরাহ নেই বলে জানান তারা।
দাম বেড়ে যাওয়ায় খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি বেড়েছে। যদিও কিছুদিন পর খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি পুরোপুরি বন্ধ করবে শিল্প মন্ত্রণালয়।
এদিকে, দফায় দফায় অভিযানের পরও তেলের সরবরাহ স্বাভাবিক হয়নি বন্দরনগরী চট্টগ্রামের বাজারে। সরবরাহ কম থাকায় নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি দামে সয়াবিন বিক্রি হচ্ছে।
খুচরা ব্যবসায়ীরা বলছেন, ডিলারদের কাছ থেকে চাহিদামত তেল পাচ্ছেন না তারা। এ কারণে দাম বেড়েছে ভোজ্যতেলের। সরবরাহ ঠিক হলে নির্ধারিত দরেই পাওয়া যাবে সয়াবিন।
শুক্রবার সকাল থেকেই জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের জব্দ করা সয়াবিন তেলে কিনতে চট্টগ্রামের ক্রেতার দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়েছেন।
এদিন সকালেও চৌমুহনী কর্ণফুলী বাজারে অভিযান চালায় ভোক্তা অধিকার। এ সময় পুরনো দামে কেনা তেল নতুন দামে বিক্রি করায় দুটি প্রতিষ্ঠানকে দুই লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
নিজের দোষ স্বীকার করে অভিযুক্ত ব্যবসায়ীরা বলছেন, বেশি দামে বিক্রির আশায় ঈদের আগে তারা এসব তেল মজুদ করেছেন।
তবে খুচরা ব্যবসায়ীদের দাবি, বোতলজাত তেল সরবরাহ বন্ধ থাকায় সংকট তৈরি হয়েছে। এখনো তেলের সাথে অন্য পণ্য কিনতে বাধ্য করছেন ডিলাররা।
মেঘনা গ্রুপের টেরিটরি সেলস অফিসার জানান, বাজারে তেলের সংকট নিরসনে যথাসাধ্য চেষ্টা করে তেলের সরবরাহ স্বাভাবিক রাখা হচ্ছে।
চলতি মাসে চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে চারটি জাহাজে ৪৭ হাজার ৪৪ মেট্রিক টন ভোজ্যতেল আমদানি হয়েছে দেশে।
একাত্তর/এসজে
মন্তব্য
এই নিবন্ধটি জন্য কোন মন্তব্য নেই.