জন্ম থেকেই যাদের জীবন কেটেছে ঘূর্ণিঝড়সহ প্রাকৃতিক দুর্যোগের আতংকে এবার তারাই পেয়েছেন মাথা গোঁজার ঠাই। তারা এখন আর জলবায়ু উদ্বাস্তু নন।
অশনির শঙ্কার মধ্যেও মনোবল দৃঢ় রেখেছিলেন বরগুনা উপকূলের প্রায় এক হাজার ৭৫০টি পরিবার। যারা কিছু দিন আগেই প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসাবে ঘর পেয়েছেন।
ঘূর্ণিঝড় ‘অশনি’র প্রভাবে যখন বরগুনা উপকূলজুড়ে বৃষ্টি, তখন বরগুনার খাজুরতলা আশ্রায়নে পাকা ঘরে মনের আনন্দে গান গাইছে তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রি ত্বন্নি রানী।
ত্বন্নি ও তার মা জানান, বরগুনা সদরের ভাড়ানি খালের পাড়ে একটি জরাজীর্ণ ঘরে ভাড়া বাসায় থাকতেন। সামান্য বৃষ্টিতে কিংবা জোয়ারের পানিতে ভরে যেতো ঘর। কিন্তু এখন তাদের সুদিন।
উপকূলীয় অঞ্চলে এমন শত শত হতদরিদ্র ভূমি এবং বসতঘরহীন পরিবারের স্বপ্ন পূরণ হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর দেয়া উপহারে। এদের কেউ থাকতেন ভাঙা ঝুপড়িতে, কেউ বা নদীর পাড়ে।
হতদরিদ্র এসব পরিবারের বসতঘর নিশ্চিত করে কর্মসংস্থানসহ নানামুখী সুবিধা দেয়ার কথা জানালেন বরগুনার জেলা প্রশাসক মো. হাবিবুর রহমান।
প্রত্যেক পরিবারকে দুই শতাংস জমির ওপর দুই কক্ষ বিশিষ্ট ঘর প্রদান করা হয়েছে। এই প্রকল্পে ২২ জন তৃতীয় লিঙ্গের ব্যক্তিকে ঘর দিয়ে সমাজের মুল ধারার সঙ্গে সম্পৃক্ত করা হয়েছে।
দুই রুমের পাকা ঘরের সঙ্গে রান্নাঘর, বাথরুম ও একটি বারান্দা রয়েছে। আশ্রয়ণ প্রকল্পের প্রত্যেক ঘরেই রয়েছে বিদ্যুতের ব্যবস্থা। আরও রয়েছে ঘরের সঙ্গে খালি জায়গাও।
একাত্তর/এআর
মন্তব্য
এই নিবন্ধটি জন্য কোন মন্তব্য নেই.