চট্টগ্রাম টেস্ট ড্র হবে নাকি ফলাফল আসবে সেটা সময়ের হাতেই তোলা থাকছে। তবে বাংলাদেশের মন্থর ব্যাটিং বলে দিচ্ছে ড্রয়ের দিকেই যাচ্ছে এই ম্যাচ। তামিম ইকবাল ও মুশফিকুর রহিমের শতকের পরও শ্রীলঙ্কাকে প্রথম ইনিংসে ৬৮ রানের লিড দিয়েছে স্বাগতিক দল।
চট্টগ্রামে শ্রীলঙ্কার দেয়া প্রথম ইনিংসে ৩৯৭ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে ওপেনিং জুটিতে রেকর্ড করে বাংলাদেশ। শুরুতে তামিম ইকবালের অর্ধশতক, এরপর মাহমুদুল হাসান জয়ের। দুই ওপেনারের ব্যাটে শুরুটা হয় দুর্দান্ত।
দ্বিতীয় দিনের শেষ সেশনে ব্যাট করতে নামা দুই টাইগার ওপেনার তৃতীয় দিনেও খেলে দেন প্রথম সেশন। দুই ওপেনারের জুটি ভাঙে ১৬২ রান তুলে জয়ের ৫৮ রানে বিদায়ে। এরপর নাজমুল হোসেন ১ ও মুমিনুল হক ৩ রানে বিদায় নিলেও তামিম ছিলেন অনবদ্য। মুশফিকুর রহিমের সঙ্গে ৩৭ রানের জুটি গড়ে তুলে নেন শতক। তবে টিকতে পারেননি হাতের ব্যথায়। ১৩৩ রান করে সাজঘরে ফেরেন বিশ্রাম নিতে।
তামিম বিশ্রাম নেয়ায় ব্যাট করতে নামেন লিটন দাস। দুজনের জুটিতে তৃতীয় দিন শেষ হয় ৩ উইকেটে ৩১৮ রানে। দুজনেই তুলে নেন অর্ধশতক। ৫৩ রানে মুশফিক ও ৫৪ রানে অপরাজিত থাকা লিটন দাস চতুর্থ দিনে নেমে প্রথম সেশন শেষ করে দেন অনায়াসে। এর মাঝেই ৬৮ রান করে প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে পূর্ণ করেন ৫ হাজার রান।
মধ্যাহ্ন বিরতি থেকে ফিরেই প্রথম বলে ক্যাচ তুলে বিদায় নেন লিটন দাস। ব্যক্তিগত ৮৮ রানের মাথায় কাসুন রাজিথার বলে ক্যাচ দেন উইকেট রক্ষকের হাতে। পরের বলেই ফের ব্যাট করতে এসে বোল্ড হয়ে তামিম ফেরেন ১৩৩ রান করে।
তামিমের বিদায়ের পর সাকিব এসে দ্রুত তোলার চেষ্টা করলেও থিতু হতে পারেননি। আসিথা ফার্নান্দোর বলে ২৬ রান করে ক্যাচ দেন উইকেট রক্ষকের হাতে।
সাকিবের বিদায়ের পর নাঈম হাসানকে নিয়ে মুশফিক পূর্ণ করেন শত রান। শতক পূর্ণ করার পর ১০৫ রান করে বিদায় নেন মুশফিক। এরপর তাইজুল ইসলামের ২০, নাঈম হাসানের ৯ রানের বিদায় নেয়ার পর শরিফুল ইসলাম হাতে ব্যথা পেয়ে রিটায়ার্ড আউট হলে ইনিংস শেষ হয় বাংলাদেশের।
শ্রীলঙ্কার পক্ষে ৪ উইকেট নিয়েছেন বিশ্ব ফার্নান্দোর কনকাশন হিসেবে খেলা কাসুন রাজিথা। এছাড়া ৩ উইকেট নেন আসিথা ফার্নান্দো। ১ উইকেট করে নেন লাসিথ অ্যাম্বুলডনিয়া ও ধনঞ্জয়া ডি সিলভা।
একাত্তর/এআর
মন্তব্য
এই নিবন্ধটি জন্য কোন মন্তব্য নেই.