ইউক্রেনের ডনবাসে ভয়াবহভাবে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে রুশ বাহিনী। একথা জানিয়ে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি বলেন, তিনি বাড়িয়ে বলছেন না। যুদ্ধ নিরসনে কূটনীতি একমাত্র উপায় বলেও জানান তিনি। এদিকে, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপ থেকে পাঠানো অস্ত্রের একটি বড় চালান ধ্বংসের দাবি করেছে রুশ বাহিনী।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে ইউক্রেনকে অব্যাহতভাবে আর্থিক, সামরিক, কৌশলগত সহায়তা দিচ্ছে পশ্চিমারা। এরমধ্যে পূর্ব ডনবাসে অস্ত্রের একটি চালান পাঠানো হয়।
শনিবার রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় দাবি করেছে, ক্যালিবার
ক্রুজ মিসাইল দিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপ থেকে পাঠানো অস্ত্রের বৃহত্তর একটি চালান ধ্বংস
করা হয়েছে।
ডনবাসে চলছে ভয়াবহ আক্রমণ। লুহানস্কের রুবিঝন ও পোপাসনার পর সেভেরোদোনেৎস্কের দিকে
অগ্রসর হচ্ছে রুশ বাহিনী।
লুহানস্ক ও দোনেৎস্ক রুশপন্থীদের হাতে থাকলেও পুরো ডনবাস
নিয়ন্ত্রণে নিতে চায় মস্কো। এই
পরিস্থিতি ভয়ানক বলে জানান প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি।
তিনি বলেন, নিষ্ঠুরভাবে হামলা চালানো হচ্ছে। একটুও অতিরঞ্জিত নয়, পুরো অঞ্চল নরকে পরিণত হয়েছে। যুদ্ধ বন্ধে কূটনীতি একমাত্র উপায় বলেও জানান তিনি।
জেলেনস্কি বলেন, যুদ্ধে রক্ত ঝড়ে, সমাধান হয় কূটনৈতিক উপায়ে। এখনো
পর্যন্ত কূটনৈতিক উপায় দৃশ্যত ব্যর্থ। ইউক্রেন-রাশিয়ার মধ্যে আলোচনা স্থবির। কোন প্রক্রিয়ায়, কোন পর্যায়ে আলোচনায়
যুদ্ধ থামবে, জানি না। আমরা আলোচনায় ফেরতে চাই। কিন্তু রাশিয়া তা চায় না।
ইউক্রেনকে ধ্বংস করায় রাশিয়ার কাছ থেকে ক্ষতিপূরণ আদায়ে
আনুষ্ঠানিক চুক্তির জন্য মিত্রদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন জেলেনস্কি।
চুক্তির আওতায় মিত্রদেশে থাকা রুশ তহবিল ও সম্পত্তি জব্দ করা যাবে।
প্রেসিডেন্টের উপদেষ্টা মাইখাইলো পোডোলিয়াক বলেন, অস্থায়ীভাবে যুদ্ধ থামালে, বিরতির পরপরই নতুন করে বৃহৎ
পরিসরে ভয়াভহভাবে আক্রমণ শুরু করবে রাশিয়া। তাই যুদ্ধবিরতি প্রত্যাখ্যান করছে কিয়েভ।
মন্তব্য
এই নিবন্ধটি জন্য কোন মন্তব্য নেই.