নারায়ণগঞ্জে সিটি করপোরেশন নির্বাচনের জেরে এক কিশোরকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। রোববার (২২ মে) বিকেলে রাজধানীর প্রোঅ্যাকটিভ হাসপাতাল চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই কিশোরের মৃত্যু হয়।
এর আগে গত ১৫ মে রাতে অস্ত্রের মুখে অপহরণ করে তাকে মারধর করে অচেতন অবস্থায় বাড়ির সামনে ফেলে রেখে যায় সন্ত্রাসীরা। পরে ওই কিশোর বড়ো বোন সম্পা মণ্ডল বাদি হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেন।
নিহত কিশোরের নাম সুব্রত চন্দ্র মণ্ডল (১৫)। সে নারায়ণগঞ্জ সদরের দেওভোগ এলাকার সুরেশ চন্দ্র মণ্ডল ও গৌরী রাণী মণ্ডলের সন্তান।
সুব্রতর মা গৌরী রাণী জানান, ছেলে এক ভিডিও বার্তায় কারা, কেন তাকে নির্যাতন করেছে তাদের নামসহ বলে গেছে।
তিনি বলেন, সুব্রত নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচনে ১৪ নং ওয়ার্ডের পরাজিত প্রার্থী শফিউদ্দিন প্রধানের হয়ে কাজ করেছিল। নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পরপরই বিজয়ী কাউন্সিলর মনিরুজ্জামানের সমর্থকদের সঙ্গে তার মারামরি হয়। তারই জের ধরে ১৫ মে রাতে অস্ত্রের মুখে অপহরণ করে তাকে মারধর করে অচেতন অবস্থায় বাড়ির সামনে ফেলে রেখে যায় সন্ত্রাসীরা।
সেই নির্যাতনের দৃশ্য কেউ একজন ধারণ করে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ করলে মুহূর্তেই তা ভাইরাল হয়।
প্রথমে সুব্রতে উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জের জেনারেল হাসপাতালে (ভিক্টোরিয়া), পরে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করা হয়। কিন্তু সেখানে আইসিইউ বেড খালি না থাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম রোডের প্রোঅ্যাকটিভ হাসপাতালে তাকে ভর্তি করা হয়।
চিকিৎসকদের বরাত দিয়ে গৌরী জানান, তাকে বেধরক মারধরে দুটি কিডনি নষ্ট হয়ে যায়।
ভিডিও বার্তায় সুব্রত কী বলেছে এমন প্রশ্নে গৌরী জানান, নির্বাচনের জেরেই তাকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। সে সায়েম, সাজিত, নাঈমুদ্দিন সাজু, দোলন, রাকেশ, আল আমিন, শুভ, ভোটকা শুভ, নিরব, প্রণয়, নোমান সিকদার, অন্ত সাহা, প্রিতমসহ অনেকে তাকে নির্যাতন করেছে বলে জানিয়ে গেছে।
আরও পড়ুন: মাত্রাতিরিক্ত গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ বাড়াচ্ছে পেটের পীড়া
নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ আনিচুর রহমান জানান, যেহেতু যুবকটি মারা গেছে তাই, সেই মামলার মধ্যে হত্যার ধারাটি যুক্ত করা হবে। আমরা এই হত্যায় জড়িত অনেককেই চিহিৃত করতে পেরেছি, শীঘ্রই তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।
একাত্তর/এসি
মন্তব্য
এই নিবন্ধটি জন্য কোন মন্তব্য নেই.