তাইওয়ান রক্ষায় সামরিক হস্তক্ষেপের প্রতিশ্রুতি দেয়ার একদিন পরই তার সুর বদলে ফেললেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
বার্তাসংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে মঙ্গলবার (২৪ মে) বলা হয়, তাইওয়ানের বিষয়ে ‘কৌশলগত অস্পষ্টতার’ যে নীতি ওয়াশিংটন অনুসরণ করে আসছিল, তার কোনো পরিবর্তন হয়নি বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
তাইওয়ান নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের নীতিতে কোনো বদল এসেছে কিনা- বাইডেনকে এমন এক জিজ্ঞাসার জবাবে তিনি সরাসরি ‘না’ বলেন।
বাইডেন বলেন, নীতিতে কোনো পরিবর্তন আসেনি। তিনি দাবি করেন, সোমবার (২৩ মে) যখন তিনি বক্তব্য দিয়েছিলেন, তখনও তিনি তা বলেছিলেন।
সোমবার (২৩ মে) জো বাইডেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদার সঙ্গে অংশ নেওয়া এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, যদি তাইওয়ান চীনের আক্রমণের শিকার হয় তবে যুক্তরাষ্ট্র সামরিক হস্তক্ষেপ করবে। তাইওয়ানকে রক্ষার জন্য ‘আমরা প্রতিশ্রুতি দিয়েছি’। যুক্তরাষ্ট্র ‘এক চীন নীতি’তে রাজি হয়েছে- এর অর্থ হলো, চীন একটিই। কিন্তু এর অর্থ এই নয় যে- ‘তাইওয়ানকে বল প্রয়োগ করে দখল করা যেতে পারে’ এ ধারণাটি ‘ঠিক নয়’।
এমনটি হলে এটি ইউক্রেনে যা ঘটছে তারই মতো একটি ঘটনা হবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্র ‘আগুন নিয়ে খেলছে’: চীন
এদিকে, বাইডেনের এমন বক্তব্যের পর চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র সোমবারই বলেন, চীনের সার্বভৌমত্ব ও আঞ্চলিক অখণ্ডতা সংক্রান্ত বিষয়ে আপস বা ছাড় দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই।
চীন তাইওয়ানকে নিজেদের ভূখণ্ড হিসেবেই দেখে। এ কারণে দ্বীপটির কাছে গত দুই বছর ধরে ধারাবাহিকভাবে সামরিক কার্যক্রম জারি রেখেছে চীন। তবে ইউক্রেন নিয়ে উত্তেজনাকর পরিস্থিতিতে তাইওয়ান চীনের বিষয়ে কোনো অভিযোগের কথা জানায়নি।
উল্লেখ্য, ১৯৪৯ সালে কমিউনিস্টদের কাছে গৃহযুদ্ধে হেরে তৎকালীন চীনা সরকার তাইওয়ানে পালিয়ে এসে ‘রিপাবলিক অব চায়না’ নামে এক সরকার গঠন করে। নিজেদের সমগ্র চীনের প্রতিনিধিত্বশীল সরকার বলেও দাবি করে তারা। আর তাইওয়ানের বর্তমান প্রেসিডেন্ট সাই ইং ওয়েন চীনের দাবির তীব্র বিরোধী। তিনি তাইওয়ানকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে মনে করেন।
একাত্তর/জো
মন্তব্য
এই নিবন্ধটি জন্য কোন মন্তব্য নেই.