মাদক পাচার ও কারবারে জড়িতরা যতো বড় অপরাধীই হোক না কেন তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার হুশিয়ারী দিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। সেই সঙ্গে মাদকের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জিরো টলারেন্স নীতির কথা আবারও স্মরণ করিয়ে দেন তিনি।
শুক্রবার সকালে, রামু ৩০ বিজিবির ব্যাটালিয়ন সদর দফতরে বিজিবি কক্সবাজার রিজিওনের বাৎসরিক মাদকদ্রব্য ধ্বংসকরণ অনুষ্ঠানে তিনি একথা জানান।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, অপরাধী রাজনীতিবিদ হোক কিংবা আর সমাজের স্বনামধন্য ব্যাক্তি হন। তাদের বিরুদ্ধে কঠোর হতে হবে বিজিবিকে। মাদকের কারবার বন্ধে যে কোন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।
তিনি বলেন, মাদক রোধে কঠোর হতে কঠোরতর হতে হবে। অপরাধীদের কোনও দলীয় পরিচয় নেই। মাদকের সঙ্গে জড়িতরা যে দলেরই হোক, তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।
তিনি আরও বলেন, দেশে মাদকসেবীদের মধ্যে ৫০ শতাংশ তরুণ। আমাদের লক্ষ্য, মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স বাস্তবায়ন করা।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মাদক ঠেকাতে সীমান্ত হচ্ছে চ্যালেঞ্জিং। মিয়ানমার সীমান্ত রয়েছে ২৭৪ কিলোমিটার। দেশটি থেকে ২৪ প্রকার মাদক আসে। সীমান্তে কাজ করা অনেক দুরূহ ব্যাপার। এ কারণে বিজিবিতে হেলিকপ্টার থেকে শুরু অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার হচ্ছে। সীমান্তে মাদক ও মানবপাচার রোধে কাজ করছে বিজিবি। তারা দেশের জন্য দুঃসাহসিক কাজ করে যাচ্ছেন।
অনুষ্ঠানে বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল সাকিল আহমেদ বলেন, মাদকের বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন ও সার্বজনীন প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। সীমান্তে মাদক পাচার রোধে বিজিবি সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করতে প্রস্তুত।
এ সময় বিজিবি'র কক্সবাজার রিজিয়ন কর্তৃক ৩৯৫ কোটি ৭৬ লক্ষ ৪৭ হাজার ৫৭৫ টাকা মূল্যমানের মাদকদ্রব্য ধ্বংস করা হয়।
একাত্তর/এআর
মন্তব্য
এই নিবন্ধটি জন্য কোন মন্তব্য নেই.