জামালপুরে পাহাড়ি ঢলে পানি বেড়ে, যমুনার বাম তীর সংরক্ষণ প্রকল্প বাঁধে ধস দেখা দিয়েছে। দফায় দফায় ভাঙনে কুলকান্দি হার্ডপয়েন্ট এলাকায় ৩০মিটার অংশ ধ্বসে যায়।
এলাকাবাসী বলছেন, ভাঙন ঠেকাতে জিও ব্যাগ ডাম্পিং কাজ শেষ হবার আগেই, আবারও ধ্বসে গেছে ৫০ মিটার অংশ। এতে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন কয়েকটি ইউনিয়নের মানুষ। তবে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্তারা বলছেন, ভাঙ্গন এখনো নিয়ন্ত্রণের মধ্যেই রয়েছে।
গত বুধবার (২৫ মে) বিকেলে যমুনার পানি বেড়ে কয়েক দফা ভাঙনে ইসলামপুরে বামতীর সংরক্ষণ প্রকল্প বাঁধের কুলকান্দি হার্ডপয়েন্টে ধসে গেছে ৩০মিটার এলাকা।
এলাকাবাসী বলছেন, ভাঙনের পরপরই জিও ব্যাগ ডাম্পিং শুরু করে পানি উন্নয়ন বোর্ড। কিন্তু আট দিন পর আবারো ধ্বসে গেছে আরও ৫০ মিটার অংশ।
এতে হুমকির মুখে পড়েছে, কুলকান্দি ও পার্থশী ইউনিয়নসহ উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নের বসতবাড়ি, ফসলি জমিসহ বিভিন্ন স্থাপনা।
নদী পাড়ের মানুষের অভিযোগ, নিম্নমানের কাজ করায় বারবার ভেঙে যাচ্ছে বাঁধ। আর এতে আতঙ্কে আছেন তারা। ধস দ্রুত না থামলে তাদের বাড়িঘর সব বিলীন হয়ে যাবে।
স্থানীয় বাসিন্দা আহসান আলী মণ্ডল বলেন, ‘আমার এই জীবনে ৮ বার নদীভাঙনের শিকার হয়েছি। এখন এই বাঁধ ধস হলে মরণ ছাড়া উপায় নাই।’
এদিকে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ আবু সাঈদ জানিয়েছেন, কুলকান্দি হার্ডপয়েন্টে জিও ব্যাগ ডাম্পিং কাজ চলছে। দ্রুতই ভাঙন রোধ হবে।
তিনি বলেন, তিনি জানান, বাঁধ ধস রোধে জিও ব্যাগ ডাম্পিং করা হচ্ছে। আমরা এই জায়গাটি পর্যবেক্ষণ করে পরবর্তীতে আরও জিও ব্যাগ ডাম্পিং করার ব্যবস্থা করা হবে।
আরও পড়ুন: খননের পর প্রাণ ফিরেছে মৃতপ্রায় টাঙ্গন নদীতে
আবু সাঈদ জানান, ভারতের আসাম ও মেঘালয়ে অতিবৃষ্টির কারণে যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। এ ছাড়া এই জায়গায় নদীর গতি-প্রকৃতি পরিবর্তন হয়েছে। নতুন একটি চ্যানেল হয়েছে। তাই এখানে ভাঙন দেখা দিয়েছে।
যমুনার ভাঙন ঠেকাতে ২০১০ সালে থেকে ২০১৭ সালে পর্যন্ত, দেওয়ানগঞ্জের ফুটানি বাজার থেকে সরিষাবাড়ির পিংনা পর্যন্ত, ৩টি পয়েন্টে ১৬ দশমিক ৫৫ কিলোমিটার এলাকায়, বাঁধ নির্মাণ করে পানি উন্নয়ন বোর্ড।
একাত্তর/এসজে
মন্তব্য
এই নিবন্ধটি জন্য কোন মন্তব্য নেই.