পটুয়াখালীর দুমকির উত্তর পাঙ্গাশিয়ায় নির্যাতন সইতে না পেরে ডিভোর্স দেয়ায় স্ত্রীকে পুড়িয়ে মারার অভিযোগে স্বামী আবদুল জলিলকে কুষ্টিয়ার মিরপুর থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
হত্যাকাণ্ডের ১৭ ঘণ্টার ব্যবধানে শুক্রবার (২৭ মে) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে কুষ্টিয়া জেলা পুলিশের একটি টিম জলিলকে তার গ্রামের মিরপুর উপজেলার সামন্ত গ্রামের বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে।
এ তথ্য নিশ্চিত করে বাউফল-দুমকি সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার শাহেদ চৌধুরী বলেন, 'অল্প সময়ের মধ্যে আবদুল জলিলকে আমরা গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হই। জলিল কুষ্টিয়া জেলার মিরপুর থানার সামন্ত এলাকার নূর আলীর ছেলে।'
নিহত ইতির স্বজনদের অভিযোগ, বৃহস্পতিবার দুমকি উপজেলার পাঙ্গাশিয়া ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের উত্তর পাঙ্গাশিয়া গ্রামে শ্বশুরবাড়িতে ঢুকে ঘুমন্ত স্ত্রী ইতি আক্তারের (২৬) শরীরে পেট্রোল ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেন জলিল। পরে তিনি পালিয়ে যান।
অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় ইতিকে প্রথমে পটুয়াখালী মেডিক্যালে ও পরে বরিশাল শেরেবাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়ার পর ঢাকায় রেফার করা হয়। ভোর ছয়টায় ঢাকায় নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। ইতির আজমাইন নামে সাড়ে পাঁচ বছরের একটি ছেলে রয়েছে।
আরও পড়ুন: সাপের খামারে সাপের কামড়ে শ্রমিকের মৃত্যু
পরিবার সূত্রে জানা যায়, সাত বছর আগে ঢাকায় পোশাক কারখানায় চাকরি করার সময় আব্দুল জলিলের সাথে সম্পর্ক হওয়ার পর তাকে বিয়ে করেন ইতি। তবে বিয়ের পর থেকেই জলিল ইতির ওপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালাতেন।
তিন মাস আগে ইতি সন্তানকে নিয়ে বাবার বাড়ি ফিরে বসবাস শুরু করেন এবং গত ১৩ মে স্বামী জলিলকে ডিভোর্স দেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে জলিল এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন বলে ইতির পরিবারের দাবি।
একাত্তর/এসজে
মন্তব্য
এই নিবন্ধটি জন্য কোন মন্তব্য নেই.