রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে ‘সরাসরি আলোচনা’ করে কূটনৈতিক পথে যুদ্ধ অবসানের আহ্বান জানিয়েছে জার্মানি ও ফ্রান্স। খবর বিবিসির।
শনিবার (২৮ মে) সকালে টেলিফোনে পুতিনের সঙ্গে দীর্ঘ ৮০ মিনিট ধরে কথা বলেছেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ এবং জার্মানির চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎস। এই ফোনালাপেই তারা এই আহ্বান জানান তারা।
মূলত আলোচনার মাধ্যমে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ থামানোর চেষ্টা করছে দেশ দুটি। এ জন্য দু্ই দেশের নেতারা পুতিনকে এখনই যুদ্ধবিরতি এবং রাশিয়ার সেনাদের প্রত্যাহার করে নেওয়ার ওপর জোর দিতে অনুরোধ জানান।
জার্মান চ্যান্সেলরের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ম্যাক্রোঁ ও শলৎস পুতিনকে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে কূটনৈতিক উপায়ে যুদ্ধ থামানোর একটি পথ খুঁজে বের করার অনুরোধ করেন।
কিন্তু ফ্রান্স বা জার্মানি যতই কূটনৈতিক পথে যুদ্ধ অবসানের পথ খোঁজার কথা বলুক, ইউক্রেন বা রাশিয়া এ বিষয়ে বিন্দুমাত্র ছাড় দিচ্ছে না।
বরং এই ফোনালাপে পুতিন এই দুই ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) নেতাকে সতর্ক করে দিয়ে বলেন, ইউক্রেনকে অস্ত্রের যোগান দেওয়ার পরিণতি ‘বিপজ্জনক’ হবে।
এদিকে ক্রেমলিনের পক্ষ থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়, ইউক্রেনকে অস্ত্রের যোগান দেওয়ার ফলে পরিস্থিতি আরও অস্থিতিশীল হবে এবং মানবিক বিপর্যয় নেমে আসার ঝুঁকি বৃদ্ধি পাবে।
আর ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের উপদেষ্টা এবং দেশটির পক্ষে শান্তি আলোচক দলের প্রধান মিখাইলো পোডোলিয়াক বলেছেন, রাশিয়ার সঙ্গে কোনো ধরনের চুক্তিতেই তাদের আস্থা নেই।
এক টেলিগ্রাম পোস্টে তিনি লেখেন, রাশিয়ার সঙ্গে কোনো চুক্তির কানাকড়ি দামও নেই। এটি এমন একটি দেশ, যারা সর্বদা কুৎসিতভাবে মিথ্যা বলে, তাদের সঙ্গে কি কোনো আলোচনা সম্ভব?
ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর শান্তি ফিরিয়ে আনতে দুই দেশের প্রতিনিধিরা দফায় দফায় আলোচনায় বসলেও ২৯ মার্চের পর উভয় পক্ষের আর কোনো বৈঠক হয়নি। ফলে আপাতদৃষ্টে মনে হচ্ছে, সেই আলোচনা ভেস্তে গেছে।
একাত্তর/জো
মন্তব্য
এই নিবন্ধটি জন্য কোন মন্তব্য নেই.