ছয়টি উপজেলা মিলে প্রায় ২০ লাখ লোকের বাস ঝিনাইদহে। আর এতো সংখ্যাক লোকের কথা চিন্তা করে ১৯৯৩ সালের ৫ জুন নির্মিত হয় পঞ্চাশ শয্যা বিশিষ্ট ঝিনাইদহ সদর হাসপাতাল। এরপর ধীরে ধীরে এটি উন্নিত করা হয় দুই’শো পঞ্চাশ শয্যায়।
বর্তমানে হাসপাতালটিতে কর্মরত আছেন ৪৩ জন মেডিক্যাল কর্মকর্তা। কিন্তু সম্প্রতি এই হাসপাতালে দেখা দিয়েছে নানা সংকট এবং বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি। লোক সংকটে মুখ থুবড়ে পড়েছে হাসপাতালের কার্যক্রম। অল্প সংখ্যাক চিকিৎসক দিয়ে কোন রকমে চলছে সব। রোগীরা পড়েছেন ভোগান্তিতে। এমনকি দূর থেকে রোগীরা চিকিৎসা নিতে এলে তাদেরও ভোগান্তির শেষ নেই।
হাসপাতালটির বর্হিঃবিভাগে প্রতিদিন প্রায় দুই হাজার রোগী চিকিৎসা নেন। আর ভর্তি রোগী প্রতিদিন গড়ে ২৮০-২৯০ জন সেবা নিচ্ছেন। ফলে সীমিত জনবল দিয়ে রোগীদের চিকিৎসা দিতে চিকিৎসক এবং নার্সরা পড়েছেন বিপাকে।
অন্যদিকে, রোগী এবং তাদের আত্মীয়রা অভিযোগ করে বলেন, চিকিৎসকরা ঠিকমতো রোগী দেখেন না। চিকিৎসার মান নিয়ে প্রশ্ন তোলে অনেকেই বলেন, হাসপাতালটির চারপাশে এমন ময়লা আবর্জনা তাতে রোগীদের অবস্থা আরও বেহাল।
এমনকি হাসপাতালটিতে কর্মরত নার্সরাও বলছেন, এটি পরিষ্কার রাখতে রীতিমতো হিমশিম খেতে হয় তাদের।
হাসপাতালটির তত্বাবধায়ক সৈয়দ রেজাউল ইসলাম এসব তথ্য স্বীকার করে বলেন, সবেমাত্র হাসপাতালটির অনুমোদন হলেও আর্থিক অনুমোদন হয়নি। আর এই কারণেই এতো ভোগান্তি। তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, লোক সংকট কমে গেলে অচিরেই নানা ভোগান্তি দূর হবে।
হাসপাতালে দালাল সিন্ডিকেট প্রসঙ্গে এই কর্মকর্তা বলেন, রোগী ভাগিয়ে ক্লিনিকে যাওয়ার অভিযোগ পেয়েছেন তিনি। সেই বিষয়ে সঠিক পদক্ষেপ নেবেন তারা।
এদিকে, ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসক কনক কান্তি দাস ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, রোগীরা প্রত্যাশিত সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। দ্রুত নানা সংকট এবং সমস্যা সমাধানে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
একাত্তর/ এনএ
মন্তব্য
এই নিবন্ধটি জন্য কোন মন্তব্য নেই.