পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালীতে বোনের সাথে প্রেম করার অপরাধে দ্বাদশ শ্রেণীর কলেজ ছাত্র মো. ফয়সাল পেদাকে ডেকে নিয়ে নির্যাতন করে মাথার সামনের অংশ ন্যাড়া করে দিয়েছে প্রেমিকার ভাই মো. মামুন হাওলাদার।
এ ঘটনায় অসহযোগিতার অভিযোগ আনা হয়েছে মেয়েটির চাচা রিয়াজ হাওলাদার ও বাবা খবির হাওলাদারের বিরুদ্ধে।
বুধবার (২২ জুন) রাঙ্গাবালীর কাজিরহাওলা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ খবর পেয়ে বিকেলে অভিযুক্তদের বাড়ি থেকে কথিত প্রেমিক ওই কলেজ ছাত্রকে উদ্ধার করে। এ ঘটনায় ভিকটিম ফয়সাল পেদার মা আকলিমা বেগম বাদী হয়ে রাঙ্গাবালী থানায় তিনজনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেন।
পুলিশ প্রধান আসামি মামুন হাওলাদারসহ দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে।
মামলার বিবরণ ও ফয়সালের পরিবারের অভিযোগে জানা যায়, রাঙ্গাবালী গ্রামের নিবাসী মো. ফজলু পেদার ছেলে রাঙ্গাবালী সরকারি ডিগ্রি কলেজের দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্র মোহাম্মদ ফয়সাল পেদা খালগোড়া বাজার এলাকার জামাল মাস্টারের বাসায় থেকে পড়াশোনা করে আসছিলেন। এসময় কাজিরহাওলা গ্রামের ওই মেয়ের সাথে ফয়সালের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। বিষয়টি টের পেয়ে তাকে শায়েস্তা করার জন্য মেয়েটির পরিবার ফাঁদ পাতে।
এরই অংশ হিসেবে বুধবার সকাল সাড়ে দশটায় মেয়ের বাবা তার মেয়েকে ফয়সালের হাতে তুলে দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে মোবাইলে ফোন করে বাড়িতে ডেকে নেয়। এরপরে প্রেমিকার ভাই মামুন হাওলাদার, চাচা রিয়াজ হাওলাদার ও বাবা খবির হাওলাদারের সহায়তায় ফয়সালকে শিকল দিয়ে বেঁধে মারধর করে আটকে রেখে আটকে রাখা হয়।
এসময় ফয়সালের মাথার সামনের চুল ন্যাড়া করে দেন মামুন হাওলাদার।
ফয়সালের মা আকলিমা বেগম লোকজনের কাছ থেকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে রাঙ্গাবালী থানায় খবর দেন।
পরে এসআই আমিনুল ইসলামসহ সঙ্গীয় পুলিশ ফোর্স বিকেল সাড়ে পাঁচটায় ওই বাড়ি থেকে ফয়সাল পেদাকে উদ্ধার করে।
এ ব্যাপারে ফয়সালের মা আকলিমা বেগম বাদী হয়ে তিন জনকে আসামী করে মামলা করেন।
আরও পড়ুন: ট্রাক চাপায় বেদেপল্লীর শিশু নিহত, চালক আটক
পুলিশ প্রধান আসামি মামুন হাওলাদার ও তার চাচা রিয়াজ হাওলাদার দুইজনকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
রাঙ্গাবালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জগলুল হাসান জানান, ফয়সাল নামের একটি ছেলেকে তার প্রেমিকার বাড়িতে শেকল দিয়ে বেঁধে রেখে নির্যাতনের খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে উদ্ধার করে। এ ঘটনায় দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মামলা হয়েছে। যথাযথ আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
একাত্তর/আরএ
মন্তব্য
এই নিবন্ধটি জন্য কোন মন্তব্য নেই.