নারায়ণগঞ্জে ৯ বছরের এক মাদরাসার ছাত্রী ধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। আরও অভিযোগ, এ ঘটনা না জানাতে ওই শিক্ষার্থীকে ধর্মের দোহাই দিয়ে শপথ নিতে বাধ্য করা হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের হয়েছে।
গত বুধবার (২৯ জুন) রাত আটটার দিকে জেলার আড়াইহাজার উপজেলার ছনপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরে রোববার (৩ জুলাই) সকালে ওই ছাত্রীর মা বাদি হয়ে দুইজনের নাম উল্লেখ করে থানায় মামলা করেন।
নির্যাতনের শিকার শিক্ষার্থী স্থানীয় একটি মাদরাসার নবম শ্রেণির ছাত্রী।
অভিযুক্তরা হলেন- একই এলাকার প্রাইভেট শিক্ষক আল মাহি (২২) ও তার ছাত্র মো. আছলাম (১৮)।
আড়াইহাজার থানার অফিসার ইনচার্জ আজিজুল হক জানান, একই এলাকার রফিকুলের বাড়িতে আল মাহি নামের এক যুবকের কাছে শিশুটিকে প্রাইভেট পড়ছিল। ওই শিশুর সঙ্গে প্রাইভেট পড়তো আছলাম নামের এক ছাত্র। শিক্ষক ও ছাত্র প্রায় সময় শিশুটিকে শারীরিক নির্যাতনসহ ধর্ষণের চেষ্টা করতো। এক পর্যায়ে ২৯ জুন রাতে আটটার দিকে শিশুটি পড়তে গেলে আল মাহি ও আছলাম তাকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। পরে ঘটনা কাউকে না জানাতে ধর্মের দোহাই দিয়ে শপথ নিতে বাধ্য করা হয়।
কিন্তু রাতে গিয়ে শিশুটি তার মাকে সব খুলে বলে। আসামিদের গ্রেপ্তার চেষ্টা চলছে। দ্রুত তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।
আরও পড়ুন: ঈদের সাত দিন এক জেলার বাইক অন্য জেলায় যাবে না
অপরদিকে ফতুল্লার পাগলা পশ্চিম দেল পাড়া এলাকায় বিয়ের প্রলোভনে ১৪ বছরের কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় কিশোরীর মা বাদি হয়ে মামলা দায়ের করেছেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, ইমরুল (১৮) নামে এক তরুণ প্রায় সময়ই কিশোরীকে প্রেমসহ কু প্রস্তাব দিতো। এক পর্যায় প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে এবং বিয়ের প্রস্তাব দেয়। শুক্রবার (১ জুলাই) রাত ৯টার বাসায় কিশোরীকে একা পেয়ে ইমরুল ধর্ষণ করে পালিয়ে যায়।
ফতুল্লা মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সাইফুল ইসলাম জানান, এ বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। অভিযুক্তকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছে পুলিশ।
একাত্তর/এসি
মন্তব্য
এই নিবন্ধটি জন্য কোন মন্তব্য নেই.