মাত্র সাত লাখ টাকায় পাঁচটি গরু দিয়ে শুরু শখের খামার
করেছিলেন হেলাল তালুকদার। সেটিই
এখন তার আয়ের বড় উৎস। তার
এখন গাভীই আছে ৫০টি।
এবার কোরবানির হাটে তিনি ৫০টি গরু পাঠাচ্ছেন। জানালেন, গেলো ১০ বছরে তার ব্যবসা বেড়েছে ৫০ গুণ। তবে এই সময়ে নানা চ্যলেঞ্জের মুখেও পড়তে হয়েছে।
রাজধাণীর দক্ষিণখান এলাকায় পাঁচ বিঘা জমির নিয়ে গড়ে
উঠেছে তাঁর খামার। সেখানে
রয়েছে দুগ্ধদানকারী ৭০টি গাভী।
আর কোরবানীর ও মাংসের বাজারের জন্যও ৮৫টি গরু, যা পালন
হয়েছে। দৈনিক ৮৫০-১০০ লিটার দুধই সংগ্রহ হয় এই খামার থেকে।
হেলাল তালুকদারের নিজ প্রচেষ্টা এবং শ্রমে সফল করেছেন
এই স্বপ্ন। এখন
বিনিয়োগ ও সম্পদ আছে চার কোটিতে টাকা।
ভালো মুনাফা করে এলাকায় বেশ পরিচিতি এই খামার। সেই সঙ্গে মানসম্মত দুধ ও ভালো জাতের গরুর জন্য
এই খামারের রয়েছে বেশ নাম ডাক।
এবার কোরবানি বাজারের জন্য আছে প্রায় ৫০টি ষাড়। এর একটির ওজন ৮৭০ কেজি। দাম চাওয়া হবে ১২ লক্ষ টাকা করে। হেলালের
আশা, ভালো দামই পাবেন তিনি।
ইলেক্ট্রনিক পণ্য ব্যবসায়ী হেলাল তালুকদার অনেকটা শখ
থেকে গড়ে তোলেন এই প্রাণিসম্পদ ও দুগ্ধ খামার। শুরু থেকেই পশুর খাদ্যের বিষয়ে ভীষণ
সচেতন তিনি।
হেলাল তালুকদার তার শুরু গল্পটা বলতে গিয়ে জানালেন, ২০১৪
সালে যাত্রা শুরুর পার করতে হয়েছে নানা চড়াই উৎরাই। তালুকদারের স্বপ্নের বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়ে ছিলো করোনাঘাত।
পরিচ্ছন্ন পরিবেশে আলাদা আলাদা শেডে পালন হচ্ছে ২০টি
দেশি ষাড়, ৩০টি বিদেশি ষাড় এবং ৮০টি গাভী। খামারের প্রবেশ
মুখেই দেশি গরুর শেড। সবগুলো গরু প্রায় একই সাইজের।
দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ভালো মানের বাছুর সংগ্রহ
করে বেশ সময় নিয়ে বিক্রি উপযোগী করা হয় এই খামারের গরু। নিজে কাঁচা ঘাসও উৎপাদন
করে থাকেন।
সময়ে সময়ে নানা আঘাতে দমে যাননি এই উদ্যোক্তা। লড়াই করেছেন। তবে করোনাকাল গো খাদ্যসহ অন্যান্য ব্যয় অনেক বেড়ে মুনাফার
হার কমে গেছে।
নতুন উদ্যোক্তাদের জন্য হেলাল বলেন, শুধু পুঁজি থাকলেই হবে না, থাকতে হবে বাজার জ্ঞান ও পশু পালন শিক্ষা। চ্যালেঞ্জ নিতে পারা মানুষই কেবল পারবে স্বপ্ন সফল করতে।
একাত্তর/আরবিএস
মন্তব্য
এই নিবন্ধটি জন্য কোন মন্তব্য নেই.