ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মিরে জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তৈয়্যবা'র গ্রেপ্তার হওয়া নেতা তালিব হোসাইন শাহ ভারতের ক্ষমতাসীন দল বিজেপির সক্রিয় সদস্য ছিল বলে জানা গেছে। জম্মুতে বিজেপি'র মাইনরিটি মোর্চা’র (সংখ্যালঘু মোর্চা) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের দায়িত্ব পালন করছিলেন এই নেতা।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, শুক্রবার সকালে জম্মুর রিয়াসি এলাকার গ্রামবাসীরা তালিব হোসাইন শাহ ও তার সহযোগীদের আটক করে পরে তাদেরকে পুলিশে দেয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে দুটি একে রাইফেল, কয়েকটি গ্রেনেডসহ অন্যান্য অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।
পুলিশের জানায়, এক মাসেরও বেশি সময় ধরে তালিবের ওপর নজর রাখা হচ্ছিল। রাজৌরি জেলায় দুটি বিস্ফোরণ ও হত্যাকাণ্ডের সন্দেহভাজন তিনি।
এনডিটিভি নিশ্চিত করেছে যে, এর আগে ৯ মে বিজেপি তালিব হোসাইন শাহকে জম্মু প্রদেশে তাদের আইটি ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব দেয়। স্থানীয় বিজেপির মাইনরিটি মোর্চার এক আদেশে বলা হয়েছিল, রাজৌরি জেলার বুধানের দ্রাজ কট্রাঙ্কার তালিব হোসাইন শাহকে বিজেপি মাইনরিটি মোর্চার জম্মু প্রদেশের নতুন আইটি ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম প্রধান হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। অবিলম্বে তা কার্যকর হবে।
এছাড়া জম্মু-কাশ্মির বিজেপির সভাপতি রবীন্দ্র রায়নাসহ স্থানীয় বিজেপির সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে তালিবের একাধিক ছবিও রয়েছে।
এদিকে এ ঘটনার জন্য অনলাইনে সদস্যপদ প্রদানের ব্যবস্থাকে দায়ী করছে বিজেপি। কোনো ধরনের যাচাই ছাড়াই দলে যোগদানের সুযোগ তৈরি হয়েছে বলে দাবি করা হচ্ছে দলের পক্ষ থেকে।
বিজেপির মুখপাত্র আর এস পাথানিয়া বলেন, তাদের গ্রেপ্তারের ফলে নতুন একটি ইস্যু সামনে এলো। আমি এই নতুন মডেলকে বলবো এভাবে- বিজেপি যোগদান, সুযোগ লাভ, অনুসন্ধান চালানো… এমনকি দলের শীর্ষ নেতাদের হত্যার ষড়যন্ত্রও করা হয়েছে। যা পুলিশ নস্যাৎ করেছে।
পাথানিয়ার দাবি, ভারত সীমান্তে যারা ত্রাস ছড়াতে চায় তারা এগুলো করছে। এখন অনলাইনে যে কেউ বিজেপির সদস্য হতে পারছে। এই ব্যবস্থায় অপূর্ণতা রয়েছে। কারণ যারা অনলাইনে সদস্য হওয়ার আবেদন করছেন তাদের অপরাধের তথ্য বা পরিচয় যাচাইয়ের কোনও সুযোগ রাখা হয়নি।
একাত্তর/আরবিএস
মন্তব্য
এই নিবন্ধটি জন্য কোন মন্তব্য নেই.