ভোলায় পুলিশ ও বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে সংর্ঘষের ঘটনায় গুরুতর আহত ভোলা জেলা ছাত্রদলের সভাপতি নুরে আলম চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। এ নিয়ে ওই ঘটনায় দুইজনের মৃত্যু হলো।
বুধবার (৩ আগস্ট) দুপুরে রাজধানীর কমফোর্ট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা গেছেন বলে জানিয়েছে ভোলা জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির সোপান।
তিনি জানান, গত রোববার কেন্দ্রীয় কর্মসূচীর অংশ হিসাবে জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতে অব্যবস্থাপনার প্রতিবাদে ভোলায় বিএনপি বিক্ষোভ সমাবেশ করে। পরে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে রাস্তায় নামতে গেলে পুলিশের সঙ্গে নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষ ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও ইটপাটেকল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। এ সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ৩৫ রাউন্ড টিআর সেল এবং ১৬৫ রাউন্ড রাবার বুলেট ও শর্টগানের গুলি ছোড়ে। সংঘর্ষে ১০ পুলিশ সদস্যসহ বিএনপির অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী আহত হয়। নিহত হয় আব্দুর রহিম নামে স্বেচ্ছাসেবক দলের এক কর্মী।
বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়, ওই সংঘর্ষে জেলা ছাত্র দলের সভাপতি নুরে আলম গুলি বিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হন। তাকে ভোলা সদর হাসপাতাল থেকে বরিশাল এবং ওই দিনই ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয়। তিন দিন লাইফ সাপোর্টে থাকার পর আজ দুপুরে ভোলা জেলা ছাত্রদল সভাপতি নুরে আলম রাজধানীর কমফোর্ট হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন। তার স্ত্রী ও একটি কন্যা শিশু রয়েছে।
আরও পড়ুন: পরিত্যক্ত অবস্থায় ৮০ হাজার মার্কিন ডলার উদ্ধার
এদিকে পুলিশের সঙ্গে বিএনপির সংর্ঘষের ঘটনায় পুলিশ বাদি হয়ে ৭১ জনের নামে ও অজ্ঞাত ৩০০ জনের নামে পৃথক দুটি মামলা করেছে। বুধবার পর্যন্ত ওই মামলায় মোট ১০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
একাত্তর/এসি
মন্তব্য
এই নিবন্ধটি জন্য কোন মন্তব্য নেই.