ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরাইল। এ হামলায় অন্তত ১৫ জন নিহত হয়েছেন বলে দাবি ইসরায়েলি বাহিনীর। খবর:এএফপি।
শুক্রবার (৫ আগস্ট) দুপুরের পর এই হামলার ঘটনা ঘটে।
ইসরায়েলের সেনাবাহিনীর মুখপাত্র রিচার্ড হেক্ট বলেন, ‘আমরা ধারণা করছি, অভিযানে কমপক্ষে ১৫ জন নিহত হয়েছেন। তবে অভিযান এখনো শেষ হয়নি।’
ইসরায়েল সেনাবাহিনী আরও বলেছে, ফিলিস্তিনের ইসলামিক জিহাদ (পিআইজে) নামের একটি সশস্ত্র গোষ্ঠীর জ্যেষ্ঠ নেতাকে লক্ষ্য করে হামলাটি চালানো হয়। গোষ্ঠীটির হুমকির জবাবে এ অভিযান চালানো হচ্ছে।
তবে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলেছে, ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় আট ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে এক শিশু ও ফিলিস্তিনের ইসলামিক জিহাদের এক কমান্ডার রয়েছেন।
ইসলামিক জিহাদ গ্রুপের পক্ষ থেকে জানানো হয়, তাদের আল কুদস ব্রিগেডের কমান্ডার তায়াসির আল-জাবারি বিমান হামলায় নিহত হয়েছেন। গাজা সিটির ফিলিস্তিন টাওয়ারে ছিলেন তিনি।
গাজা সিটিতে অবস্থিত সেই ভবনটির সাত তলা থেকে ধোঁয়ার কুণ্ডলি বের হতে দেখা যায়।
ফিলিস্তিনের এক সিনিয়র কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে কয়েকদিন ধরেই ইসরাইল-ফিলিস্তিনের মধ্যে উত্তেজনা চলছিল। এর মধ্যেই এ হামলা চালানো হলো।
গণমাধ্যমকে ওই ভবনের এক বাসিন্দা জানিয়েছেন, দুপুরের পর হামলা হয়। ওইখানে অনেক বেসামরিক মানুষ বসবাস করেন বলেও জানান তিনি।
শুক্রবার বিমান হামলার পর গাজায় আরও বেশ কয়েকটি জায়গায় বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়।
ইসরাইলের সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে একটি বিবৃতিতে বলা হয়, ইসরাইল ডিফেন্স ফোর্স বর্তমানে গাজায় উপত্যকায় হামলা চালাচ্ছে। ইসরাইলের সম্মুখভাগে বিশেষ জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে।
গত সপ্তাহেই গাজার আশপাশের শহরগুলো বন্ধ করে দেয় ইসরাইল। তাছাড়া সীমান্তে অনেক সেনা পাঠায় তারা। ফিলিস্তিনের সিনিয়র নেতাকে আটকের কারণে হামলা হতে পারে এই দোহাই দিয়ে তারা সেখানে জড়ো হয়।
এদিকে, ফাওজি ব্রাহমোম নামে হামাসের একজন মুখপাত্র বলেছেন, এই হামলার জবাব দেওয়া হবে।
হামলার আগে শুক্রবার গাজায় ইসরাইল অংশে আসেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী বেনি গানজ। তিনি জানান, হুমকি নিশ্চিহ্ন করতে তারা অভিযান চালাবেন।
ওই সময় তিনি জানান, ইসরাইল কোনো যুদ্ধ চায় না। কিন্তু নিজেদের নাগরিকদের রক্ষা করতে তারা চুপ করে থাকবেন না।
উল্লেখ্য, এই গাজা উপত্যকা নিয়ে গত ১৫ বছরে চারবার যুদ্ধ করেছে ইসরাইল ও হামাস। নতুন করে বিমান হামলার কারণে সেখানে আবারও বড় ধরনের দ্বন্দ্ব লেগে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
একাত্তর/জো
মন্তব্য
এই নিবন্ধটি জন্য কোন মন্তব্য নেই.